মােঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি // আমার স্বামীকে আটকিয়ে মারধর করে জখম করেছে, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়েছে ও চাঁদা দাবী করেছে। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করায় আসামিরা আমাদের পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি ও নির্যাতন করে আসছে। এমন অভিযোগ করেছেন দিনাজপুর উপজেলার বড়ইল গ্রামের মোখলেসুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ ইয়াসমিন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সকাল ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইয়াসমিন বলেন,
আমি ও আমার পরিবার নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। গত ০২/০৯/২০২৪ তারিখ রাত সাড়ে ৯টার সময় আমার স্বামী মোঃ মোখলেছুর রহমান ঢাকা যাওয়ার জন্য দিনাজপুর শহরের কালিতলায় শাহ্ ফতে আলী ঢাকা কোচ কাউন্টারে গেলে সদর উপজেলা সুবড়া গ্রামের বর্তমান কালিতলা এলাকার
মৃত হবিবর রহমানের ছেলে
মোঃ আনিছুর রহমান বাদশা, বড়ইল গ্রামের মৃত নমিজ উদ্দীনের ছেলে মোঃ লতিফ ও একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ হাসান, মোঃ সাদ্দাম, লুৎফরসহ আরো কয়েকজন মিলে আমার স্বামীকে আটকিয়ে মারডাং করে জখম করে, নগদ টাকা-পয়সা, কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় ও চাঁদা দাবী করে। দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা নিয়ে বিরোধ ছিল। ইতিপূর্বে দুই কেটি টাকার বিনিময়ে ভূয়া কাগজ তৈরি করে জবর দখল করে আমাদের জমি বিক্রি করে দেয়। এ ব্যাপারে ৮৭/১২ একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ইতি পূর্বে আমার বড় ভাই আমিনুল ইসলামের বাড়ী ভাংচুর ও আমার ছোট ভাইয়ের বাড়ীতে ভাংচুর ও ডাকাতি করে। বিবাদিগন দীর্ঘদিন দরে আমাদের পরিবারের উপর অন্যয় অত্যাচার জুলুম করে আসছেন।
পরে এ ব্যাপারে দিনাজপুর সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা করা হয়। এর আগে আমার স্বামী বিবাদীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ঋন খেলাপি বলে ৪০৬/২০২২ রিট পিটিশন করে বিবাদীকে নির্বাচন করতে দেয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদী আমার স্বামীকে বলে তুই আমার এক কোটিটাকার ক্ষতি করেছিস। তোকে সাত দিনের মধ্যে দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তা না হলে তোকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখবো।
বিবাদীগন আইন বর্হিভূতভাবে আমাদের পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি ও নির্যাতন করে আসছে। সংবাদ সম্মেলনে ন্যায় বিচারের স্বার্থে তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য উক্ত বিবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মোছাঃ ইয়াসমিন।
সংবাদ সম্মেলনে তার পরিবার সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, কহিনুর বেগম, মোহনা খাতুন, রোজি, মল্লিকা আক্তার, আসমা বেগম, আলেকজান, মরিয়মসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।