1. mohib.bsl@gmail.com : admin :
  2. info@barisalerkhobor.com : editor :
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন

বরিশাল সিটি করপোরেশনে ভাগ পেতে কার্যাদেশ আটকে দিলেন বিএনপি নেতারা

  • Update Time : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩ Time View
????????????????????????????????????

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রায় ১২ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে। কাজগুলোর ঠিকাদার নির্ধারণে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) প্রক্রিয়ায় দরপত্রের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

তবে সর্বনিম্ন দরদাতা দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিতে বাধা দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা। তারা পুনঃদরপত্রের জন্য বিসিসি কর্তৃপক্ষকে নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন। পুনঃদরপত্রের মাধ্যমে কাজগুলো বাগানো অথবা চাপে রেখে বড় অঙ্কের অর্থ হাতানো তাদের মূল উদ্দেশ্য; বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে, বিএনপি নেতা আতহারুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান পিন্টু, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য বদিউজ্জামান টলন, রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ আরও কয়েকজন এর সঙ্গে জড়িত। তারা জোটবদ্ধ হয়ে কয়েক দিন আগে নগর ভবনে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীরকে তিনটি গ্রুপের দরপত্র বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেন। দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারেননি– এমন অজুহাত তুলে পুনঃদরপত্র আহ্বানের জন্য চাপ দেন।

জানা গেছে, অপসারিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ দায়িত্বে থাকাকালে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সড়ক ও ড্রেন নির্মানে পৃথক তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করেন। প্রায় ১২ কোটি টাকা কাজের পুরোটা বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে।

দরপত্র জমার সর্বশেষ তারিখ ছিল ৮ আগস্ট। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। প্রতিটি প্যকেজের বিপরীতে তিনটি দরপত্র জমা পড়ে। ওই সময়ে আওয়ামীপন্থি ঠিকাদাররা আত্মগোপনে থাকায় অংশগ্রহণকারী সব ঠিকাদারই বিএনপিপন্থি।

যৌথ প্রতিষ্ঠান শরীফ এন্টারপ্রাইজ ও তালুকদার এন্টারপ্রাইজ এবং এসএইচ এন্টারপ্রাইজ প্রতিটি প্যাকেজের দরপত্র জমা দেয়। ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭০১ টাকা এবং ৪ কোটি ৭৮ লাখ ৭২ হাজার ২৭২ টাকায় দুটি প্যাকেজের সর্বনিম্ন দরদাতা হয় যৌথ প্রতিষ্ঠানটি। অপর প্যাকেজে ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৭ টাকার সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান এসএইচ এন্টারপ্রাইজ। নিয়মানুযায়ী তারাই কার্যাদেশ পাবেন।

সর্বনিম্ন দরদাতা এসএইচ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শাহাবুদ্দিন আজাদ বলেন, অজ্ঞাত কারণে তাঁকে কার্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে না। অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একই অবস্থা। তিনি জানান, তারা শুনেছেন– কে বা কারা কার্যাদেশ না দেওয়ার জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে চাপে রেখেছে।

ই-জিপি পদ্ধতি সবার জন্য উন্মুক্ত। কেউ দরপত্রে অংশ নিতে না পারলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যর্থতা। অপর দুটি প্যকেজের সর্বনিম্ন দরদাতা যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম স্বত্বাধিকারী মনির হোসেন তালুকদার একই অভিযোগ করেন।

বিসিসির তিনটি প্যাকেজের কার্যাদেশে বাধা দিচ্ছেন কিনা– জানতে চাইলে মহানগর বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান টলন বলেন, ওই প্যাকেজগুলো বিষয়ে জানতে নগর ভবনে গিয়ে শুনেছি, দরপত্র শেষ হয়েছে।

এসব বিষয়ে আমাদের তো জানার অধিকার আছে। তাই তিনিসহ বিএনপি নেতা বাবুল চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম শাহীন, যুবদলের মাহবুবুর রহমান পিন্টুসহ কয়েকজন গিয়েছিলেন। তবে বাধা দেওয়ার বিষয়ে তারা সম্পৃক্ত নন।

অপরদিকে পিন্টু বলেন, অনেক ঠিকাদারি কাজের বকেয়া বিল রয়েছে। এ জন্য সচিব ও হিসাব শাখায় কয়েকবার গিয়েছি।

বিএনপি নেতা শাহীন বলেন, ২০১৩-১৮ মেয়াদের মেয়র আহসান হাবিব কামালের সময়ে তাঁর বিপুল পরিমাণ বিল বকেয়া রয়েছে। ওই বিলের বিষয়ে জানতে একা নগর ভবনে গিয়েছিলাম।

বিসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) হুমায়ুন কবীর বলেন, তিনটি প্যাকেজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্র দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বিএনপিপন্থি এক দল ঠিকাদারের বাধা প্রদান প্রসঙ্গে বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২৪

Theme Customized By BreakingNews