1. mohib.bsl@gmail.com : admin : Md Mohibbullah
  2. editor@barisalerkhobor.com : editor :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন

মসজিদে তালা, রাস্তায় জুমার নামাজ আদায় করলেন মুসল্লিরা

  • Update Time : শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪
  • ২৩ Time View

চরফ্যাশনে ইমাম ও মুসল্লিদের মারধর করে মসজিদে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জিয়াউদ্দিন সোহাগ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি আছলামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহমেদের ছেলে। এতে মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ না পেরে জুমার নামাজ আদায় করলেন খোলা আকাশের নিচে রাস্তায়।

শুক্রবার (৭ জুন) উপজেলার আছলামপুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বাইতুস সালাম জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, ৩ বছর আগে জিয়াউদ্দিন সোহাগের নিকট থেকে বাইতুস সালাম জামে মসজিদ স্থাপনের জন্য ২২ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়।

বায়না চুক্তি অনুযায়ী মুসল্লিগণ মসজিদ স্থাপন করে দীর্ঘদিন যাবত জুমার নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আসছেন। পর্যায়ক্রমে সকল টাকা পরিশোধ করলেও এখন জমির দলিল দিতে অস্বীকৃতি জানায় সোহাগ।

সোহাগের দাবি ৩ বছর পূর্বের চুক্তিপত্র বাতিল করে বর্তমান মূল্যে তাকে জমির দাম পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে জমির দলিল দেয়া হবেনা এবং মসজিদে কোন মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারবে না। গত ৩ জুন তাঁর কথা অমান্য করে জোহরের নামাজ আদায় করতে গেলে ইমাম ও মুসল্লিদের মারধর করে মসজিদে তালা লাগিয়ে দেন জিয়াউদ্দিন সোহাগ।

মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিলউদ্দিন হাওলাদার বলেন, সোহাগ মুসল্লিদের মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছে। অতিরিক্ত টাকা না দেওয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছে।
আছলামপুর ১নং ওয়ার্ড মেম্বার ইয়াছিন সেলিম মসজিদে তালা দেওয়া ও মুসলিমদের মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ বিষয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান ছাড়া আমার পক্ষে সোহাগের বিচার করা সম্ভব নয়।

আছলামপুর ২নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল হাসেম হাওলাদার বলেন, মসজিদটি আমার বাড়ির পাশে হওয়ায় আমিও একজন মুসল্লি। সোহাগের হুমকি ও মারধরের ভয়ে গত পাচঁদিন মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ আছে। তাই মসজিদের সকল মুসল্লিদের সিদ্ধান্তে আমরা জুমার নামাজ রাস্তায় আদায় করা করেছি।

আছলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিলিটারি বলেন, এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এমন ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডে জন্য সোহাগের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জিয়াউদ্দিন সোহাগ বলেন, আমার পাওনা টাকা দিয়ে নামাজ পড়তে বলেছি। মসজিদে তালা দিলেও পরে আমি চাবি নিতে সভাপতির নিকট ফোন করেছি। তবে কেউ চাবি নিতে আসেননি।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved ©
Theme Customized By BreakingNews
Optimized by Optimole