বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি জোড়দারের লক্ষ্যে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে পাকিস্তান। আয়ারল্যান্ডের মতো উঠতি দলের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও এক ম্যাচে হেরে সমালোচনার মুখে পড়ে যায় পাকিস্তান।
এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হেরে যায় পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যাক্ত হয়।
গত শনিবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯.২ ওভারে ১৬০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ২৩ রানে হেরে সিরিজে পিছিয়ে যায় বাবর আজমরা।
বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের দ্য ওভালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে ২০ ওভারও খেলতে পারেনি পাকিস্তানের ১১জন ব্যাটসম্যান।
ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ১৯.৫ ওভারে মাত্র ১৫৭ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বড় স্কোর গড়তে পারেননি কেউই। উসমান খান ২১ বলে সর্বোচ্চ ৩৮ করেন।
অধিনায়ক বাবর আজম ২২ বলে করেন ৩৬ রান। ১৬ বলে ২৩ রান করেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১৮ বলে ২১ আর ১৮ বলে ১৬ রান করে ফেরেন ইফতেখার আহমেদ ও নাসিম শাহ। শূন্য রানে ফেরেন ৪ ব্যাটসম্যান।
১২০ বলে ১৫৮ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ফিল স্ল এবং জস বাটলারের ব্যাটিং তাণ্ডবে উড়ন্ত সূচনা করে পাকিস্তান। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬.১ ওভারে ৮২ রান করে ইংল্যান্ড। এরপর মাত্র ৩০ রানের ব্যবধানে ইংল্যান্ড হারায় ৩ উইকেট। জনি বেয়ারস্টো আর হ্যারি ব্রুক দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে ২৪ বলে ৬টি চার দুটি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন। ২১ বলে ৩৯ রান করেন জস বাটলার। ১৮ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন জনি বেয়ারস্টো।
Leave a Reply