ঘূর্ণীঝড় রিমালের তান্ডবে গত তিন ধরে বিদ্যুৎ নেই ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায়। এতে গত তিন ধরে অন্ধারে বসবাস করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিদ্যুৎ না থাকায় ভয়াবহ মানবিক সংকটে জীবনযাত্রা অতিবাহিত করছে স্থানীয়রা। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডি (ওজোপাডিকা) কোম্পানীকে।
তাদের গাফলতির কারনে আজ মনপুরা অন্ধকারে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভংয়াবহ পরিস্থিতি মধ্যে রয়েছে উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগিদের।
চরম গরমে অস্থির হয়ে পড়েছে রোগিরা। হাত পাখা নিয়ে রোগিরা হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা নিতে দেখা গেছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ না থাকায় টয়লেটে পানি ব্যবহার করতে পারছেনা রোগিরা।
গত মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিন হাসপাতালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৪ বছরের শিশু কণ্যার স্বজন আমির, রোগি শামিম সহ অনেকে জানান, গত তিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে আরও বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়েছি। এছাড়াও টয়লেটে পানি নেই, নিচ থেকে পানি আনতে হয়।
এদিকে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ না থাকায় পড়া-লেখা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। তাছাড়া উপজেলা সদরে বসবাসরতদের ফ্রিজে থাকা সকল খাবার নষ্ট হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করে একাধিক বাসিন্দা।
বিদ্যুৎ না থাকায় তারা গোসল সহ প্রকৃতিক কাজ সারতে চরম দুর্ভোগ পৌহাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মামুন, করিম, সালাউদ্দিন, সহিজল সহ অনেকে অভিযোগ করে জানান, ঘূর্ণীঝড়ে হাসপাতালের সামনে গাছ পড়ে বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে যায়।
কিন্তু গত তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ বিভাগ এই লাইনটির কাজ সারাতে পারেনি। তাদের চরম গাফলতির কারনে আজ মানুষ দুর্ভোগ পৌহাচ্ছে।
এদিকে বিদ্যুতের কারনে সমগ্র উপজেলায় রাতের বেলায় ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেনা বলে অভিযোগ করেন হাজিরহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিজাম উদ্দিন হাওলাদার।
এই ব্যাপারে হাসপাতালের দায়িত্বেথাকা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএস) ডাঃ কবির সোহেল জানান, বিদ্যুতের কারণে স্বাস্থ্য সেবা চরম আকার ধারন করেছে।
এই ব্যাপারে মনপুরা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ফরিদুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণীঝড়ের তান্ডবে বিদ্যুতের পিলার পড়ে গেছে তাই বিদ্যুৎ দেওয়া যায়নি। বিদ্যুতের লাইন মেরামতের পর বিদ্যুৎ দেওয়া হবে।
Leave a Reply