বরিশাল সদর উপজেলাধীন ৭ নং চরকাউয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর ২টায় নয়ানী চৌমুখী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে এ অনুষ্ঠানে ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ শাহ আলম হাওলাদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, চরকাউয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র (প্রস্তাবিত) আহবায়ক এডভোকেট কাজী মোখলেসুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: আনোয়ার হোসেন মানিক মেম্বার।

এসময় ইউনিয়ন বিভিন্ন ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। তবে ওই সভায় অংশ নেয় ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চরকাউয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: মুজিবুর রহমান হালিম মুন্সী। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান, বাদল শরীফ, জালাল হাওলাদার, জাহাঙ্গীর মাস্টার, নজরুল ইসলাম ও আলতাফ সিকদারকে দেখা যায় ওই অনুষ্ঠানে। যা নিয়ে চমর ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় তৃণমূলের একাধিক বিএনপির কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, বিগত আওয়ামী দু:শাসনের ১৬ বছরে এরা নানান ধরনের বৈষম্য মূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করেছে।যেমন চরকাউয়া নয়ানি রাস্তা পাকা করনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য, মেয়র ও জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার এমপি, সেই ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙে ফেলেন স্থানীয় ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে শফিকুর রহমান। যিনি এখন ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী।

তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, ২০২৩সালের বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অংশগ্রহণ করতে লোকজন কে বাঁধা দেয়া সহ জনতার হাটের সকল ট্রলার বন্ধ করে দেয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান রহমান হালিম মুন্সি। তিনি এখন বিএনপির কর্মসূচিতে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন! হালিম মুন্সি বিগত দিনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চরকাউয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ছবির আস্তাভাজন হিসেবে পরিচিত।

এছাড়া বড় বাড়ির জালাল হাওলাদার, বাদল শরীফ আওয়ামী লীগের প্রভাবে বিগত বছরগুলোতে বিএনপির বিরুদ্ধে সকল কর্মকান্ডে প্রকাশ্যে অংশ নিয়েছিলেন। সাহিদা শরীফ পেয়ারা মেম্বার বিএনপির ভোটে নির্বাচিত হয়ে ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এসব বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের দাবী বিগত দিনে যারা বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলা-মামলা সহ বিভিন্নভাবে হয়রানী করেছেন তারা যাতে এখন বিএনপিতে যোগ না দিতে পারে। এজন্য দলীয় সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

না প্রকাশে অনিচ্ছুক চরকাউয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, বিএনপির খারাপ সময়ে যারা তেমন কোন কর্মসূচিতেই অংশ নেয় নি তারাই এখন মস্তবড় বিএনপি হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সেল্টার দিয়ে বিএনপির প্রোগ্রামগুলোতে জায়গা দিচ্ছেন যা খুবই নিন্দনীয় কাজ। দলের নীতিনির্ধারকরা বারবার বলছেন আওয়ামী লীগের কেউ যাতে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে কিন্তু আমাদের ইউনিয়ন বিএনপির কিছু সুবিধাবাদী নেতারা তা মানছেন না!

এব্যাপারে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান রহমান হালিম মুন্সির সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।