খান মেহেদী :- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতা জন্ম নিবন্ধনে, অতিরিক্ত অর্থ আদায় সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এতে উপজেলা জুড়ে সাধারণ জনতার নিন্দার ঝড় উঠেছে। সাধারণ জনতার দাবি দুবারের দেশ সেরা ইউপি চেয়ারম্যান কে হেও প্রতিপন্ন করতে মিথ্যে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
এবং সুযোগ্য এই ইউপি চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক ইমেজকে সংকটে ফেলতে ও রাজনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে তাঁর বিরুদ্ধে হয়রানির ও উদ্দেশ্য প্রণীত ভাবে মানহানিকর ও অসত্য অভিযোগ তুলে মিথ্যা পূর্বাকাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে।
এমনকি অপপ্রচারের সাথে চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের কোন সংশ্লিষ্টতার বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দাঁড় করানো যায়নি। প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই মিথ্যা অভিযোগ গুলো করা হয়েছে।
উল্লেখিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, একটি স্বার্থন্বেষী কুচক্রি মহল আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করতে এই সকল অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি দুবার দেশ সেরা ইউপি চেয়ারম্যান হাওয়ায় আমার জনপ্রিয়তা বাধাগ্রস্ত করতে তারা এই সকল কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরো জানান দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক, জুয়াসহ যেকোন অপরাধের প্রতি ঘৃণা রেখেই তার পথ চলা। এছাড়া আমি একজন নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান। নিয়ম মেনে নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব থেকে সততা ও সাহসিকতার সহিত কাজ পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই যে, সম্প্রতি সমাজের কিছু ব্যক্তি আমার মাধ্যমে তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে না পেরে এবং অর্থনৈতিক সুবিধা না পেয়ে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইশারায় সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট অল্প কাহিনী সাজিয়ে মারাত্মক রকমের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, যে সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে। এর স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে পারবেন না অভিযোগকারীরা । কেননা অভিযোগের জায়গাগুলোই কাল্পনিক। আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। শুধুমাত্র রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই কাজটি করছেন তারা। মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা চাওয়া হচ্ছে। এতে সাড়া না দেওয়ায় এখন অনেকটা ব্লাক-মেইলের শিকার হচ্ছি। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, কেউ কারো বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালালে ভুক্তভোগী ব্যক্তি বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করতে পারেন।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায়, ব্যাপক ভূমিকা রাখায় তার বিরুদ্ধে একটি কুচুক্তি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।