1. mohib.bsl@gmail.com : admin :
  2. info@barisalerkhobor.com : editor :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ অপরাহ্ন

বাড়ছে আতঙ্ক, ‘মব জাস্টিস’ থামানোর তাগিদ

  • Update Time : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪ Time View

ডেক্স রিপোর্ট
‘মব জাস্টিস’ বা ‘মব লিঞ্চিং’ শব্দ দুটির ব্যবহার ইদানীং বেড়েছে। ‘কান নিয়েছে চিলে’র মতো ব্যাপারও ঘটছে। কোনো ঘটনার পূর্বাপর না ভেবে জনতা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কী করতে হবে কিংবা না বুঝেই ছুটছে ঘটনার পেছনে। যার ফলাফল হত্যা, হেনস্তা কিংবা লাঞ্ছনা।

সবশেষ ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একজনকে চোর সন্দেহে, অন্যজনকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে প্রশাসনের নাগের ডগায় এমন হত্যাকাণ্ড নাড়া দিয়েছে সব শ্রেণির মানুষকে। মনে করিয়ে দিয়েছে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে। তবে এমন ‘মব জাস্টিস বা ‘উন্মত্ত জনতার বিচার’ নতুন নয়। এটাকে ‘বিচার’ বলতে চান না কেউ কেউ। বিচার একটি পজিটিভ শব্দ। কিন্তু মব জাস্টিসের নামে যেটা ঘটছে সেটা ভয়াবহ। যে বিচারের অর্থ হয়ে উঠেছে গণপিটুনি, অপমান, হত্যা কিংবা আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা।
২০১৯ সালে ছেলেধরা সন্দেহে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় তসলিমা বেগম রেণু নামে এক নারী হত্যার ঘটনা নিশ্চয় মানুষ এখনো ভোলেনি। ২০১১ সালে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে ঢাকার অদূরে সাভারের আমিনবাজারে ওই ছয়জন ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

অথবা ২০১১ সালের ২৭ জুলাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর কাঁকড়া এলাকায় ডাকাত সাজিয়ে কিশোর শামছুদ্দিন মিলনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও মানুষকে এখনো নাড়া দেয়। পুলিশ গাড়িতে করে এনে জনতার হাতে এই কিশোরকে ছেড়ে দেয়। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতেই মিলনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনাগুলো আগের। কিন্তু সম্প্রতি ‘মব জাস্টিস’র নামে যা শুরু হয়েছে তা এরই মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সারাদেশে। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও মব জাস্টিসের নামে মারামারি, অত্যাচার কিংবা হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে।
Logo
ভিডিও
EN
Home/ জাতীয়

বাড়ছে আতঙ্ক, ‘মব জাস্টিস’ থামানোর তাগিদ
তৌহিদুজ্জামান তন্ময় | প্রকাশিত: ০৯:১৪ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাড়ছে আতঙ্ক, ‘মব জাস্টিস’ থামানোর তাগিদ সম্প্রতি তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে
‘মব জাস্টিস’ বা ‘মব লিঞ্চিং’ শব্দ দুটির ব্যবহার ইদানীং বেড়েছে। ‘কান নিয়েছে চিলে’র মতো ব্যাপারও ঘটছে। কোনো ঘটনার পূর্বাপর না ভেবে জনতা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কী করতে হবে কিংবা না বুঝেই ছুটছে ঘটনার পেছনে। যার ফলাফল হত্যা, হেনস্তা কিংবা লাঞ্ছনা।

সবশেষ ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একজনকে চোর সন্দেহে, অন্যজনকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে প্রশাসনের নাগের ডগায় এমন হত্যাকাণ্ড নাড়া দিয়েছে সব শ্রেণির মানুষকে। মনে করিয়ে দিয়েছে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে। তবে এমন ‘মব জাস্টিস বা ‘উন্মত্ত জনতার বিচার’ নতুন নয়। এটাকে ‘বিচার’ বলতে চান না কেউ কেউ। বিচার একটি পজিটিভ শব্দ। কিন্তু মব জাস্টিসের নামে যেটা ঘটছে সেটা ভয়াবহ। যে বিচারের অর্থ হয়ে উঠেছে গণপিটুনি, অপমান, হত্যা কিংবা আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালে ছেলেধরা সন্দেহে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় তসলিমা বেগম রেণু নামে এক নারী হত্যার ঘটনা নিশ্চয় মানুষ এখনো ভোলেনি। ২০১১ সালে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে ঢাকার অদূরে সাভারের আমিনবাজারে ওই ছয়জন ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

অথবা ২০১১ সালের ২৭ জুলাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর কাঁকড়া এলাকায় ডাকাত সাজিয়ে কিশোর শামছুদ্দিন মিলনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও মানুষকে এখনো নাড়া দেয়। পুলিশ গাড়িতে করে এনে জনতার হাতে এই কিশোরকে ছেড়ে দেয়। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতেই মিলনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বাড়ছে আতঙ্ক, ‘মব জাস্টিস’ থামানোর তাগিদঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে নিহত তোফাজ্জল/ছবি সংগৃহীত

এ ঘটনাগুলো আগের। কিন্তু সম্প্রতি ‘মব জাস্টিস’র নামে যা শুরু হয়েছে তা এরই মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সারাদেশে। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও মব জাস্টিসের নামে মারামারি, অত্যাচার কিংবা হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে।

বিজ্ঞাপন

মব জাস্টিস কিংবা গণপিটুনিতে মানুষকে হত্যা করা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। যেহেতু দেশে একটি বিদ্যমান সরকার আছে, সচেতন সমাজ আছে। যে কোনো কিছুতে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আইনের সহায়তায় সমস্যা সমাধান করা উচিত।- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। কিন্তু যারা এসব কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার তেমন উদাহরণও দেখা যাচ্ছে না।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ঘটনায় সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি, আইনের শাসনের প্রতি অনীহা এবং ভবিষ্যতে প্রতিশোধ স্পৃহা তৈরি করতে পারে। যে কোনো মূল্যে এসব ঘটনা ঠেকানো না গেলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

গণআন্দোলনে হাসিনা সরকার পতনের পর পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় একদল মানুষের একজোট হয়ে বিচার করে ফেলার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে, যা ‘মব জাস্টিস’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। বাংলায় যাকে বলা হচ্ছে ‘উন্মত্ত জনতার বিচার’।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট গভীর রাতে কুমিল্লার তিতাস থানা-পুলিশের দুই সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। স্থানীয় উৎসুক জনতা তিতাস থানা ঘেরাও করতে গেলে থানা-পুলিশ আত্মরক্ষার্থে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানায় পৌঁছে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন। পুলিশ সদস্যদের উদ্ধারের পর কিছু মানুষ তিতাস থানা এবং থানার পাশের মার্কেটে অগ্নিসংযোগ করে। থানা পাহারায় থাকা দুই পুলিশ সদস্য জীবন রক্ষার্থে থানার পেছনের ফটক খুলে পালানোর চেষ্টা করেন। লোকজন তাদের পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২৪

Theme Customized By BreakingNews