গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পলাশ শিকদারের (৩২) বিরুদ্ধে যুবদল নেতা সোহেল শিকদারকে (৩০) মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার গোপালপুর গ্রামে শিকদার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সোহেল শিকদার গোপালপুর গ্রামের ইলিয়াস শিকদারের ছেলে ও পিঞ্জুরী ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি। তিনি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্ত পলাশ শিকদার একই গ্রামের মুজাফফরর শিকদারের ছেলে ও পিঞ্জুরী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি।
জানা গেছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে গোপালপুর ব্রিজের পশ্চিম পাশে পলাশ শিকদার ও যুবলীগ নেতা নাজমুল খান লোকজন নিয়ে সোহেল শিকদারের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে রক্ষা করতে গেলে স্থানীয় ছাত্রদল নেতা ইমন বখতিয়ার বাবুও আহত হয়।
গুরুতর আহত যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতা বর্তমানে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন যুবদল নেতা সোহেল শিকদার বলেন, আমি যুবদল করার অপরাধে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পলাশ শিকদার ও যুবলীগ নেতা নাজমুল খান লোকজন নিয়ে আমাকে মারধর করে। এ সময় আমাকে রক্ষার জন্য ছাত্রদল নেতা ইমন বখতিয়ার এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাকেও মারধর করে।
এ বিষয়ে জানার জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পলাশ শিকদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে যুবলীগ নেতা নাজমুল খান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না।
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মান্নান শেখ বলেন, আমরা শিষ্টাচার মেনে রাজনীতি করতে চাই। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি চাই না। তবে আমাদের পায়ে পাড়া দিয়ে যদি কেউ বিরোধ করতে চায় তাহলে রাজনৈতিকভাবে তার মোকাবেলা করা হবে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, মারধরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।