ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটি থেকে আমদানি পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ ইস্যুতে আগেই সতর্ক করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এদিকে ব্রাজিল হুমকি দিয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত যেকোনো শুল্কের পাল্টা পদক্ষেপ তারা নেবে। খবর বিবিসির।
চীনের পর যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। তাই এই শুল্ক বৃদ্ধি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। এ মাসের শুরুতে অবশ্য ট্রাম্প বড় শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে। এতে ব্রাজিলকে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর ‘আক্রমণ’ এবং বলসোনারোর বিরুদ্ধে ‘হয়রানিমূলক ব্যবস্থা’ নেওয়ার অভিযোগ করেন ট্রাম্প।
শুল্ক সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে ব্রাজিলের প্রধান বেশ কয়েকটি রপ্তানি পণ্য উচ্চ কর আরোপের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কমলার রস, কিছু বিমানের যন্ত্রাংশ এবং জ্বালানি পণ্য।
এই আদেশে ব্রাজিলে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন, ভীতি প্রদর্শন, হয়রানি, সেন্সরশিপ এবং বলসোনারোর বিচার’-এর সঙ্গে সরাসরি শুল্ক আরোপের কথাও বলা হয়েছে।
বুধবার মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা বিধিবহির্ভুতভাবে ‘বিচারের আগেই আটকের’ অনুমোদন এবং ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ দমন করার অভিযোগে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন।
বিচারক মোরেস ব্রাজিলের সাবেক ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০২২ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বলসোনারো ও তার সহযোগীরা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করেছিলেন অভিযোগে এই তদন্ত চলছে।