অবকাঠামোগত সংকট, শ্রেণিকক্ষের অভাব এবং আবাসনসহ বহুমুখী সমস্যায় জর্জরিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। দীর্ঘদিন ধরেই এসব বিষয়ে দাবি জানিয়ে এলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। ফলে এবার কঠোর আন্দোলনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এক নম্বর ভবনের নিচতলায় অনুষ্ঠিত হয় একটি উন্মুক্ত আলোচনা সভা। আয়োজিত এ সভায় উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট, অবহেলা এবং প্রশাসনিক উদাসীনতাসহ নানান দিক, যা শিক্ষার্থীদের ভাবিয়ে তোলে, করে বিস্মিত।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সংকট নিরসন এবং বাৎসরিক বাজেট বৃদ্ধির দাবিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়, এতে সবাইকে অংশ নিতেও আহ্বান জানানো হয়।”
আলোচনা সভা এবং পরবর্তী আন্দোলন পরিকল্পনা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক সাড়া পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপ ‘লিংকার্স ইন বরিশাল ইউনিভার্সিটি’-তে শিক্ষার্থীদের নানা প্রতিক্রিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী অমিও মণ্ডল ফেসবুকের কমেন্ট বক্সে লেখেন,
“ভিসির কাছে বসে থেকে কোনো লাভ হবে না, উনি তো নিজেই বলেন বাজেট নাই। আমাদের দাবিগুলো নিয়ে এখনও একটা বৈঠকেও বসেননি, আন্দোলন ছাড়া কিছু আদায় হবে না, মন্তব্য করেন তিনি।”
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন (চরমোনাই) ববি শাখার সভাপতি হাসিবুল হোসেন বরিশালটাইমসকে বলেন, “২৫ টা বিভাগে ক্লাস হয় মাত্র দুটি, ৬ তলা ভবনে। অনেক বিভাগে শ্রেণিকক্ষ নেই। সমাজকর্ম বিভাগতো একাডেমিক ভবনেই জায়গা পায়নি, তাদের জায়গা দেওয়া হয়েছে লাইব্রেরির এক কোনায়। শিক্ষকরা বসেন ৫/৬ জন মিলে এক রুমে। অথচ ঢাবির বাজেট বাড়ানোর ঘোষণা আসে, আর ববি পড়ে থাকে অবহেলায়, এটাই বৈষম্য!”
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এ পর্যন্ত বড় কোনো অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়নি। প্রতিবছর শিক্ষার্থী বাড়লেও বাড়েনি শ্রেণিকক্ষ ও হলের সংখ্যা। ফলে শিক্ষার পরিবেশ ক্রমশই সংকুচিত হয়ে পড়ছে, যা শিক্ষার্থীদের ভাবিয়ে তুলেছে এবং আন্দোলমুখী হতে বাধ্য করেছে।’