প্রথম সেশনে দুই উইকেট খুইয়েও যখন শ্রীলঙ্কা তুলে ফেলল ৯৭ রান, তখন লিড হারানো তো বটেই, বড় রানে চাপা পড়ার শঙ্কাও বাংলাদেশ শিবিরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। তবে নাঈম হাসানের কল্যাণে সে শঙ্কা ঝেঁটিয়ে বিদায় করে সফরকারীরা পেয়ে গেছে লিডের দেখা।
৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন নাঈম। শ্রীলঙ্কার ইনিংস তাতে শেষ হয়েছে ৪৮৫ রানে। বাংলাদেশ পেয়ে গেছে ১০ রানের মহামূল্য লিড।
দিনের শুরুতে বাংলাদেশ দুই উইকেট তুলে নিয়েছিল। তবে এরপরই কামিন্দু মেন্ডিস প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মিলান রত্নায়েকেকে সঙ্গে নিয়ে। দুজন মিলে সপ্তম উইকেটে তুলে ফেলেন ৯৭ রান।
সে জুটিটা ভাঙে মধ্যাহ্ন বিরতির একটু পরে। হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হন মিলান। পরের তিন উইকেটের সবকটিই গেছে নাঈম হাসানের দখলে। কামিন্দুকে তিনি ফেরান দারুণ এক ডেলিভারিতে, তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন কামিন্দু। এরপর থারিন্দু রত্নায়েকে আর আসিথা ফার্নান্দোকেও সাজঘরের রাস্তা দেখান তিনি।
গতকাল তৃতীয় দিনে একবার উইকেটের দেখা পেয়েছিলেন। আজ সকালে আরও এক আর দুপুরের সেশনে ৩ উইকেট মিলিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফাইফারের দেখা পেয়ে যান তিনি।
বাংলাদেশ লিডের আশা একটা সময় ক্ষীণই মনে হচ্ছিল। নাঈমের ফাইফারে ভর করে শেষমেশ ১০ রানের লিড পেয়েই গেল সফরকারীরা। এবার ব্যাটারদের পালা তবে!