1. mohib.bsl@gmail.com : Administrator : Administrator
  2. h.m.shahadat2010@gmail.com : Barisalerkhobor : Barisalerkhobor
শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:১৪ অপরাহ্ন

ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ: স্যালাইনের সংকট সারা দেশে

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১০ টাইম ভিউ

 সারা দেশে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যু। রাজধানীর বাইরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের অভিযোগ আছে চিকিৎসাসেবা নিয়ে। বেশ কয়েকটি জেলায় রয়েছে স্যালাইন সংকট। ১১টি জেলায় এই সংকট বেশি। জেলাগুলো হলো বাগেরহাট, পিরোজপুর, খাগড়াছড়ি, শেরপুর, যশোর, ফরিদপুর, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা। ১০ জেলায় মৃত্যুহার বেশি।

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগী আফসার মিয়া বলেন, খাওয়ার স্যালাইন, আইভি স্যালাইন এবং ওষুধ ঠিকমতো পাচ্ছেন না তাঁরা। শুধু প্যারাসিটামল ট্যাবলেট দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের পরিবেশও অনেক খারাপ।

খাগড়াছড়ি জেলার সিভিল সার্জন মো. ছাবের বলেন, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্যালাইনের চরম সংকট থাকায় জরুরি স্যালাইন সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট আছে সাত শর মতো।

স্যালাইনেরও সংকট আছে। স্যালাইন আছে মাত্র ১৩৯ ব্যাগ। তবে চাহিদা দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রওশন আলী বলেন, ‘গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। তবে চিকিৎসা নিয়ে সন্তুষ্ট নই। হাসপাতাল থেকে স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না। বাইরে থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।’

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক বলেন, হাসপাতালে স্যালাইন সরবরাহ না বাড়লে কয়েক দিনের মধ্যে সংকট দেখা দিতে পারে। আগে ১০ দিন পর পর স্যালাইন সরবরাহ দেওয়া হতো। এখনো একইভাবে দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু রোগী বেড়ে যাওয়ায় সেগুলো দিয়ে ১০ দিন চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

চিকিৎসাসেবা নিয়ে অভিযোগ
বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও স্বজনেরা। নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগী আব্দুল আলিম বলেন, তিনি কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে রোগীর সংখ্যা বেশি থাকায় চিকিৎসা ভালো পাচ্ছেন না।

খুলনার আলমগীর হোসেন বলেন, তাঁর মা আলেয়া বেগম ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনে চিকিৎসক পাওয়া যায় না। হাসপাতাল থেকে ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে না। খুলনা মেডিকেলের আবাসিক চিকিৎসক সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, এ মুহূর্তে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আগামী দিনে প্রত্যাশিত চিকিৎসা দেওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে।

১০ জেলায় মৃত্যু বেশি
ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে, ৭৮ জন। এরপর বরিশালে ৭৭ জন, ফরিদপুরে ৩১ জন, কক্সবাজারে ১৪ জন, খুলনায় ১২ জন, ময়মনসিংহ ও ভোলায় ৮ জন করে, সাতক্ষীরায় ৬ জন, পটুয়াখালীতে ৫ জন, পিরোজপুর ও নোয়াখালীতে ৩ জন করে মৃত্যু হয়েছে।

এ ছাড়া ২ জন করে মারা গেছে গাজীপুর, জামালপুর ও মাগুরায়। একজন করে মারা গেছে পাবনা, ফেনী, সিলেট, বরগুনা, কুমিল্লা, নরসিংদী ও ঝিনাইদহে। কীটতত্ত্ববিদ ও জাতীয় প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সভাপতি মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, মশা নিধনে সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে, দেশের জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে কীটতত্ত্ববিদ নেই। সেখানে সক্ষমতা নেই।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

এই বিভাগের আরো খবর
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © বরিশালের খবর।
Theme Customized By BreakingNews