দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সারাদেশে হাহাকার চলছে। সরকার নিজেই সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা দেখলে মনে হয় না দেশে কোনো সরকার আছে। সিন্ডিকেট যেদিকে সুইস দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সেভাবেই কাজ করে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, সিন্ডিকেট নামক অদৃশ্য শক্তির হাতে বন্দি সরকার। যে সিন্ডিকেট সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে বসেছে জনসাধারণের কাঁধে। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি চায় বাজারের এই সিন্ডিকেট অস্বস্তি থেকে। চায় স্বাভাবিক বাজার ব্যবস্থার গ্যারান্টি। এখন দেশের জনসাধারণের মনে একটাই প্রশ্ন, সরকার আদৌ স্বাভাবিক বাজার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারবে কিনা?
তারা বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের যোগান পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও যেন প্রতিনিয়তই চলছে রমরমা সিন্ডিকেট কারসাজি। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস দুর্নীতির উল্লম্ফন, পদে পদে চুরির সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট চক্র তৎপর। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষ যারা, তাদের আসলে নিজের ক্রয়-ক্ষমতা থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে, নিতে পারে বা কিনতে পারে এই বিষয়গুলো অবশ্যই সরকার এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দেখা উচিত। বস্তুতপক্ষে বাজার ব্যবস্থায় এই সিন্ডিকেট বিষয়টা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। বাণিজ্যমন্ত্রী এত বড় বিজ্ঞ লোক। তিনি তো অবশ্যই এই বাজার চিত্রে নজর দিতে পারেন। তিনি যদি বাজার ব্যবস্থায় তদারকি করতেন তবেই তিনি বুঝতে পারতেন আসলে জিনিসপত্রের যে দাম, যা সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে। এদিকে সাধারণ মানুষ বলছে বাণিজ্যমন্ত্রী, তিনি তো বাজারে আসে কম।
নেতৃদ্বয় বলেন, বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় অন্যতম একটা লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যাদের পকেটে প্রচুর অর্থ থাকে এবং যাদের প্রচুর টাকা রোজগার করার শক্তি থাকে, তারা সম্পূর্ণভাবেই মজুদজাত, গোডাউন জাত এবং গুদামজাত করে সম্পূর্ণরূপে উধাও হয়ে যায়। যখন গুদামজাত পণ্য বাজারে সম্পূর্ণ সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, তখন তারা এত বেশি পরিমাণ মুনাফায় ছাড়ে আর তাদের ওই লাভের টাকায় তারা বাইরের দেশে ঘুরতে চলে যায়।
তারা বলেন, এই সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে না পারলে সরকার চরম ব্যর্থ হয়ে পড়বে। সিন্ডিকেট চক্রের শনাক্ত করা অপরাধীদের এমনভাবে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যেন তারা শাস্তি জীবনের পরবর্তী সময়েও এই ব্যথা না ভোলে। বর্তমানে বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে যতক্ষণ অভিযান, ততক্ষণ সমাধান। অকপটেই ফের এই সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। সর্বোপরি এই সিন্ডিকেট চক্রকে প্রতিহত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একটা স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।
Leave a Reply