1. mohib.bsl@gmail.com : Administrator : Administrator
  2. h.m.shahadat2010@gmail.com : Barisalerkhobor : Barisalerkhobor
বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বাহাউদ্দীন গোলাপ সভাপতি, নাদিম মল্লিক সাধারণ সম্পাদক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত ধরে নিয়ে রগ কেটে দেয়া হলো স্কুলছাত্রের ‘৯ হাজার ভোট পিটাইয়া দেবো’ আওয়ামী লীগ নেতার ভিডিও ভাইরাল ৩৩৮ থানার ওসিকে বদলির তালিকা ইসিতে ঘোড়াঘাটে প্রকাশ্য দিনের বেলায় ব্যাংক থেকে ৪ লাখ টাকা চুরি ২ চোরকে পুলিশে সোপর্দ আগামী ১২ ই ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাস্পেইন উপলক্ষে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আন্দোলন জোরদার করতে নতুন কৌশলে বিরোধী দলগুলো সারা দেশে ১৫৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন সমুদ্রে দুই জেলেকে মারধর, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তিনজনকে আটক ৫ বছরে আয় বেড়েছে টিপু-ফারুক-সাদিকের

বাকেরগঞ্জে জাহানারা ক্লিনিক সেবা নামে কসাইখানা

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৪ টাইম ভিউ

 

মুহা. সফিক খান, বাকেরগঞ্জ।।
মোর গর্ভবতী মাইয়্যা শিল্পী বেগম অসুস্থ হইয়্যা পড়লে ওরে লইয়া জাহানারা ক্লিনিকে যাই। ডাক্তাররা দেইখ্যা কয় সিজার অপারেশনের জইন্যে ক্লিনিকে ভর্তি করাতে হইবে। সিজার হরানোর সময় ডাক্তাররা ভুল অপারেশন হরার কারণে আমার মাইয়্যাডা অকালে মইর্র্যা গেছে। ওরা চিকিৎসা দিতে বহে নাই, ওরা বইছে কসাইখানা খুইল্লা। ওই কসাইখানার ডাক্তারগো ভুল চিকিৎসায় মোর মাইয়্যার মতোন আর যেন কারও মাইয়্যা অকালে মইর্র্যা না যায় হেইজন্য বড় কর্মকর্তাগো কাছে ওই কসাইগো উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাই। বুক ভরা ব্যথা নিয়ে এমনিভাবে অশ্রু ঝরা কান্নায় সাংবাদিকদের কাছে কথাগুলো বলেছিলেন বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রুনসী এলাকার বাসিন্দা হারুন খলিফা নামের এক বৃদ্ধ বাবা।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা বাস স্ট্যান্ড থেকে একটু দক্ষিণে ভিআইপি কলোনি সংলগ্ন বরগুনা-বেতাগী মহাসড়কের পাশে অবস্থিত বেসরকারি জাহানার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। গ্রাম-গঞ্জের সহজ সরল মানুষগুলোকে মানসম্মতর চিকিৎসা সেবা না দিয়ে ভুল অপচিকিৎসা দিয়ে মৃত্যুর পথে ধাবিত করা হচ্ছে বলে অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে ওই ক্লিনিকের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে।

এই ক্লিনিকের দুর্ভাগ্যজনক শিকারে পরিণত হচ্ছে অসহায় রোগী ও সাধারণ মানুষ। অবৈধ্য চিকিৎসাব্যবসা, অনাবিজ্ঞ ডাক্তার ও নিজেদের ইচ্ছামতো চিকিৎসাবণিকের দাপটে দেদারছে চলছে জাহানারা ক্লিনিকের রমরমা ব্যাবসা। বিভিন্ন বাহারি ডিগ্রির সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে নিরীহ রোগীদের প্রতারিত করে চিকিৎসার চরম অরাজকতা বিরাজ করে চলছে ক্লিনিকটি। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে রোগীদের জীবন। বেসরকারি এই ক্লিনিকটির ভুল চিকিৎসার কারণে মৃত্যুবরণসহ জীবন যন্ত্রনায় অনেকেই কাঁতরাচ্ছে। ডাক্তাররা ক্লিনিকের কামাই পুত বিধায় কর্তৃপক্ষ তাঁদের কোন বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়ার ফলে ডাক্তারা রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাহিরে। ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী রোগী কিংবা তাঁদের আত্মীয় স্বজনরা অভিযোগ নিয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছে আসলেও তাঁদেরকে উল্টো শাসিয়ে ভুলভাল বুঝিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে অসংখ্য।

জাহানারা ক্লিনিক সঠিক চিকিৎসা সেবা না দিয়ে অসহায় রোগীদেরকে জীবন সংকটাপন্ন করে তুলছে। এভাবে প্রতিদিন রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে অটল অর্থ। ক্লিনিক থেকে পারসেন্টিস নেওয়া নিযুক্ত দালালদের দৌরাত্ম্যে ভুল চিকিৎসায় অবহেলা আর চিকিৎসা বাণিজ্যের কবলে পড়ে জিম্মি দশাসহ বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় দুর দুরান্ত থেকে সেবা নিতে অনেক রোগীদের। ডাক্তারদের অপচিকিৎসা ব্যবস্থাপনাটি বছরের পর বছর ধরে দুরারোগ্য ক্যান্সারের মতো চেপে বসেছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে ভুল চিকিৎসায় নির্মম বলি হবে হারুন খলিফার মেয়ে শিল্পী বেগমের মতো আরো অনেক রোগীদের।

জানা যায়, ২০১৩ সালে বেসরকারি এ ক্লিনিকটি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন, সরকারি অধ্যাপক (অর্থো-সার্জারি) ডা. খাদেমুল ইসলাম, সহকারি অধ্যাপক (চর্ম ও যৌন) কামরুজ্জামান, সহকারি অধ্যাপক (ফরেনসিক বিভাগ) ডা. রেফায়েতুল হায়দার, সহকারি অধ্যাপক নজরুল ইসলামসহ ২০ জন শেয়ার হোল্ডার যৌথ ব্যবসায়িক চুক্তিনামা করে জাহানারা ক্লিনিকের অংশীদারি মালিক হন।

ক্লিনিকটি চালু হওয়ার পর থেকে রোগীদের বিশ্বস্ততা অর্জন ও জমজমাট করতে প্রথমে বিভিন্ন সুযোগসুবিধা দিয়ে থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে ক্লিনিকটির অপচিকিৎসা এবং খামখেয়ালির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠতে থাকে। বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আসলে ক্লিনিকের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপচিকিৎসা নিয়ে কত কয়েকদিন বেশকিছু পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার পর থেকেই সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে৷ জাহানারা ক্লিনিকের ডাক্তারদের অপচিকিৎসার ফলে পাঠার বলি হওয়া অসহায় ভুক্তভোগী রোগীরা বিচারের দাবিতে বর্তমানে মুখ খুলতে শুরু করছে এবং তাদের সাথে ঘটে যাওয়া লোম হাস্যকর বিষয়বস্তু উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে অভিযোগ দিতেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের কাছে অভিযোগ করেছেন বাকেরগঞ্জের একাধিক ভুক্তভোগ ব্যক্তি। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

এ বিষয়ে ক্লিনিকের মালিকদের পক্ষ থেকে কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি অধিকাংশ চিকিৎসকদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে ক্লিনিকের বিষয়ে কোনো কথা বলবেন না বলে জানান।সমাজের জ্ঞানীব্যাক্তিরা বলেন, এ সমস্ত ভুয়া ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভুয়া চিকিৎসক অবৈধ চিকিৎসা বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দিনের পর দিন সাধারণ সহজ সরল রোগীদের জীবনে নেমে আসবে কালো ধোঁয়া। এজন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে দৃষ্টি আকর্ষন করেন। (চলবে)।।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

এই বিভাগের আরো খবর
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © বরিশালের খবর।
Theme Customized By BreakingNews