ফেনীতে হচ্ছে আধুনিক মানসম্পন্ন স্পোটর্স কমপ্লেক্স। এতে বদলে যাবে ফেনীসহ এই অঞ্চলের ক্রীড়াঙ্গন। এ কমপ্লেক্স হবে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের হকি স্টেডিয়াম। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) অধীনে ক্রিকেট ও ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার অংশ হিসেবে অংশীজনের সাথে এ নিয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভায় জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির নির্ধারিত কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড-এর স্থপতি মঞ্জুর কে. এইচ. উদ্দিন এ তথ্য জানান।
তাদের আশা, ক্রীড়া কমপ্লেক্সটিকে ঘিরে এই জনপদে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের অসংখ্য খেলোয়াড়ের জন্ম হবে। একইসঙ্গে অর্থনৈতিক, সামাজিক পরিবেশেরও ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
প্রধান স্থপতি মঞ্জুর কে. এইচ. উদ্দিন প্রকল্পটির ভিডিওচিত্রে সংশ্লিষ্ট সব বিষয় উপস্থাপন করেন। সেখানে বলা হয়, ফেনীর শহরতলীর লালপুল এলাকার গোবিন্দপুরে ২১ দশমিক ২০ একর জায়গায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮৩ কোটি টাকারও বেশি।
ফেনী স্পোটর্স কমপ্লেক্স নামে এ প্রকল্পে থাকছে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের সকল সুযোগ সুবিধাসহ একটি হকি স্টেডিয়াম, জাতীয় মানের একটি ফুটবল স্টেডিয়াম। সঙ্গে থাকবে ইনডোর স্টেডিয়াম। যেখানে টেবিল টেনিস, ভলিবল, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, কেরাম, কারাতে, বক্সিং ও শুটিংয়ের সুযোগ থাকবে।
সভায় একই প্রকল্পে অংশীজনদের দাবির প্রেক্ষিতে একই স্থানে আরও ১০ একর জায়গা বরাদ্ধ দেয়ার আশ্বাসে একটি ক্রিকেট অনুশীলন স্টেডিয়াম সংযোজনেরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। এতে প্রায় ৩০ জন সংশ্লিষ্ট সরকারি সকল বিভাগের কর্মকর্তা, ক্রীড়া সংগঠক, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধি অংশ নেন।
সভায় অংশীজনদের আলোচনায় কমপ্লেক্সের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপুল ক্রসিং উঠে আসে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বুয়েট কর্তৃক লালপুলে আন্ডারপাস ও ওভারপাসের সমীক্ষা শেষ পর্যায়। সমীক্ষা শেষ হলেই এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েট লিমিটেডের প্রধান স্থপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর কে. এইচ. উদ্দিন বলেন, ‘ফেনীর এ হকি স্টেডিয়াম থেকে তৈরি হওয়া খেলোয়াড়রা যেন বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের পতাকাকে সমুন্নত করতে পারে, সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্রীড়া কমপ্লেক্সটিকে ঘিরে এই জনপদে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের অসংখ্য খেলোয়াড়ের জন্ম হবে। একইসঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশেরও ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ‘আগামী দিনে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের হকি স্টেডিয়াম কোথায়?- নতুন এ প্রশ্নের জন্ম হবে। যার উত্তর হবে ফেনীবাসীর জন্য ভিষণ গর্বের।’
তিনি বলেন, ‘ফেনীতে ফরেন রেমিট্যান্সের প্রবাহ অনেক বেশি। এখানকার মানুষ বাজার তৈরি হলে বিনিয়োগে দেরি করে না। একই প্রকল্পে ক্রিকেট অনুশীলন স্টেডিয়ামটি সংযুক্ত হলে আন্তর্জাতিক মানের হতে ফাইভ স্টার হোটেল, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ সকল শর্ত পূরণে বেশি সময় লাগবে না।’
Leave a Reply