প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমরা কাপুরুষ নই যে সরকারের সঙ্গে আঁতাত করব।’

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‘দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। সভায় নির্বাচন নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের পাশাপাশি সাবেক আমলা, সিনিয়র সাংবাদিকসহ ২৮ জন আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, ‘নৈতিকতা থেকে আমরা এতটাও বিচ্যুত হইনি যে আরপিওতে আমরা আমাদের নিজেদের ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছি। এটা মোটেই নয়, এটা মিডিয়ায় অপপ্রচার।

ইসির কোনো ক্ষমতা কমেনি। অনেকেই এখন টকশোতে বলেন, আরপিও সংশোধন করে ইসির ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরকম একটা অপপ্রচার করা হচ্ছে।’

প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘যদি পরিস্থিতি কন্ট্রোলের বাইরে চলে যায়, তাহলে প্রয়োজনে কেন্দ্র (ভোটকেন্দ্র) থেকে পালিয়ে যান। ভোট অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। যার জন্য বন্ধ হবে সেই প্রার্থী আর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না।’

সভায় অংশ নেওয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের যাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি তারা রাজনীতিতে যুক্ত নন, আপনারা ইনটেলিকচুয়াল। সে কারণে নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা ও আপনাদের অভিজ্ঞতা, মতামত পেয়ে আমরা ঋদ্ধ হতে চাই। আপনারা একাডেমিক আলোচনা করলে আমাদের জন্য বুঝতে সুবিধা হবে।’

সভায় আমন্ত্রিত আলোচকদের মধ্যে ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. হুমায়ূন কবীর, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

সভায় আমন্ত্রিত অতিথিরা হচ্ছেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, খবর সংযোগ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিষ সৈকত, সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত, সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জুবায়ের, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ আশিক রহমান, মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা প্রধান রেজোয়ানুল হক রাজা, আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার, প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক সারফুদ্দিন আহমেদ, জিটিভির বার্তা প্রধান ইকবাল করিম নিশান, এখন টিভির সম্পাদকীয় প্রধান তুষার আব্দুল্লাহ, দৈনিক আমার সংবাদ সম্পাদক মো. হাশেম রেজা, দ্য ডেইলি অবজারভারের অনলাইন ইনচার্জ কাজী আব্দুল হান্নান, যুগান্তরের সিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক মাহবুব কামাল, মাইটিভির বার্তা প্রধান শেখ নাজমুল হক সৈকত, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন ও মোহনা টিভির নিউজ এডিটর (ভারপ্রাপ্ত সিএনই) আব্দুর রউফ।

সভায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।