জি২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ৯ সেপ্টেম্বর ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এক নৈশভোজের আয়োজন করছেন। এই অফিসিয়াল ডিনারে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও এইচডি দেবগৌড়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তাছাড়া ভারতের সব মুখ্যমন্ত্রীদের নৈশভোজের আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। বেশ কয়েকজন বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী নৈশভোজে যোগ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেসের চার মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে শুধু হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু নৈশভোজে যোগ দিতে পারেন। শুক্রবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তার কার্যালয় জানিয়েছে।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার অফিস জানিয়েছে, তিনি নৈশভোজে অংশ নেবেন না। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার কোনও কর্মসূচি নেই। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও ভোজসভায় যোগ দেবেন না। সে অসুস্থ. তার পিঠে কিছু সমস্যা আছে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারেরও নৈশভোজে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা কম। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নেরও সপ্তাহান্তে দিল্লি যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রীদেরও ভোজসভায় যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা কম। তাদের দলগুলো এনডিএ বা ভারত ব্লকের অংশ নয়।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি পরিবার স্কটল্যান্ড সফরে রয়েছেন। মঙ্গলবার তার ফেরার কথা রয়েছে। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসি রাওয়ের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী নৈশভোজে অংশ নেবেন না।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান নৈশভোজে অংশ নেবেন কি না তা জানা যায়নি। শুক্রবার উভয়েই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানর্জী, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন ও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ভোজসভায় যোগ দেবেন।
Leave a Reply