সিলেটের জাফলং উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে উত্তরপত্র ও ওএমআর শিট পূরণের অভিযোগ উঠেছে ওই কেন্দ্রের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।এ ঘটনার চারটি ভিডিও ফুটেজ সংবাদমাধ্যমের কাছে এসেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
রোববার (২১ মে) রাতে ভিডিও প্রকাশ পেলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। তবে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয় পার্শ্ববর্তী হাজী সোহরাব আলী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে। পরে পরীক্ষা শেষে তাদের খাতাগুলো মূলকেন্দ্র তথা আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এদিকে প্রত্যেক কেন্দ্রের খাতাগুলো সঠিক সময়ে পৌঁছে দেওয়া হলেও আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের খাতা দেরিতে পোস্ট অফিসে পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে গোপনে কে বা কারা কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে ভিডিও ধারণ করে। পরে সেসব ভিডিও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্নজনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, এসএসসি পরীক্ষার পর আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের হল পরিদর্শক ও প্রতিষ্ঠানের দুজন খণ্ডকালীন শিক্ষক আল মেহরাব ও কাওসার আহমেদ উত্তরপত্র পূরণ করছেন।এ সময় কেন্দ্রের বারান্দায় বেশ কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। তখন অফিসে একাধিক শিক্ষার্থীকে ঘোরাফেরা করতেও দেখা গেছে। পরে এক ছাত্রকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে ‘বাবু স্যারের’ সঙ্গে দেখা করতে বলেন এক শিক্ষক।
এদিকে ২৭ সেকেন্ডের আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুজন শিক্ষক বৃত্ত ভরাট করছেন। ২ মিনিট ১২ সেকেন্ডের আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক ছাত্রীকে বিভাগ জিজ্ঞাসা করছেন স্কুলের এক শিক্ষক। আরেক ছাত্রকে কেউ একজন ধমক দিচ্ছেন। ওএমআর শিট ঠিক করে রাখতে দেখা গেছে আরও একজনকে।
আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ এম মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনাটি আমার নজরে আসেনি। যেহেতু বিষয়টির তদন্ত চলছে, তাই এ বিষয়ে আর কিছু বলা যাচ্ছে না।
গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান জানান, এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পাওয়ার পর রোববার (২১ মে) রাতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিকভাবে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। গঠিত কমিটি তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।