বরিশালে নৌকার ৩ কর্মীকে মারধর মামলায় মহানগর ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাসহ ১৩ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। একই সাথে পুলিশের রিমান্ড আবেদনও নামঞ্জুর হয়েছে।
রবিবার বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফয়সাল আহমেদ এই আদেশ দেন। নগরীর কাউনিয়া থানার ওসি আবদুর রহমান মুকুল জানান, নৌকার কর্মী মারধরের মামলার ১৩ জন আসামি আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। একই সাথে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক হরিদাস নাগের রিমান্ডের আবেদনও আদালত নামঞ্জুর করেন। আগামী ৬ জুন এই মামলার পরবর্তী ধার্য্য তারিখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মুকুল।
গত ১৪ মে রাতে নগরীর কাউনিয়া মহাশ্মশান এলাকায় নৌকার ৩ কর্মী মামরধরের অভিযোগ ওঠে মহানগর ছাত্রলীগর তৎকালীন আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই রাতেই আহতদের একজন মনা আহমেদ বাদী হয়ে মান্না এবং অজ্ঞাতনামা অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ওই রাতেই মান্নাসহ ১০ জনকে এবং র্যাব আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে। পরদিন ওই মামলায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করে পুলিশ। নৌকার কর্মী মারধরের অভিযোগে ১৫ মে মান্নার নেতৃত্বাধীন মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
যদিও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর ১৫ মে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মান্নাকে নির্দোষ দাবি করেন। পরিকল্পিত হামলা করে মান্নাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করে ওই ঘটনা তদন্তে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
ওই হামলার সময় মান্না নগরীর কালী বাড়ি রোডে মেয়রের বাসভবনে একটি ভিডিও লাইভে ছিলেন বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থানে প্রমাণ পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ।