চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখা, আতঙ্ক বিরাজ করছে উপকূলজুড়ে। শঙ্কা নিয়েই সময় কাটছে উপকূলবাসীর।
শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা উপকূলের আকাশ মেঘলা দেখাচ্ছে। সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকলেও এখন নেই কোনো বাতাস বা বৃষ্টি। আকাশে কালো মেঘ ছড়িয়ে আছে। আর তাতে ক্রমশই বাড়ছে আতঙ্ক।
কুয়াকাটা সৈকতের ডাব বিক্রেতা ইদ্রিস বলেন, এর আগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হইছে ২০০৭ সালের সিডরে। তারপর যতবারই ঘূর্ণিঝড় আসছে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি আমাদের।
তবে সৈকত থেকে আমাদের দোকান নিয়ে সরে যেতে হয়েছে। কিন্তু এইবার অনেক ভয়ে আছি কারণ ঘূর্ণিঝড়ের আগে সাগর এবং আকাশ স্বাভাবিক রয়েছে কিন্তু এটা ভালো কোনো লক্ষণ নয়।
শুটকি ব্যবসায়ী সোহেল মাহমুদ বলেন, আমরা আগে ভাগেই সৈকত থেকে শুটকিগুলো সরিয়ে নিচ্ছি। আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে সৈকত থেকে দোকান এবং মালামাল সরিয়ে নিবো আমরা।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কলাপাড়া ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন ও কুয়াকাটা পৌরসভার দলনেতা মো. শফিকুল আলম বলেন, আমাদের প্রতিটি টিম যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আলাদা আলাদাভাবে প্রস্তুত রয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য মাইকিং, প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি।
এ বিষয় কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব এখনো তেমন একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
তবে আমাদের সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে, শুকনা খাবার এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে রেখেছি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।