বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের পশ্চিম শাহাজিরার বাসিন্দা মৃত এলেমুদ্দিন শিকদারের ছেলে হেমায়েত শিকদার(৫০) এর বিরুদ্ধে গত ২১ রমজানে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে তিন সন্তানের জননী (৩০) এক গৃহবধূকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে জানা যায়।
অভিযোগ করে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, আমার বড় মেয়ে দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ, তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য আমার বাড়ির পাশের একজন গৌরনদি থানার শাহাজিরার ওই ভন্ড ফকির হেমায়েত সিকদারের কথা বলেন। আমি আমার মেয়েকে সুস্থ করার আশায় গত ২১ শে রমজান তার বাড়িতে যাই। আমার মেয়েকে দেখে তিনি বিভিন্ন ভাবে ঝার ফুক দিয়ে আমার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নেয় এবং বলে আগামীকাল আপনি একা আসবেন আপনার মেয়েকে সুস্থ করতে হলে। আমি তার কথা রাখতে পরেরদিন তার বাড়িতে গেলে আমাকে একা পেয়ে হাত পা বেঁধে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার বাড়িতে ধর্ষণ করে। আমি তার কাছে বিনীত অনুরোধ করলেও সে আমার কথা শোনেনি। বলে তোমার মেয়ে শীঘ্রই সুস্থ হয়ে যাবে। আমি বাড়িতে চলে এসে লজ্জায় কারো কাছে কিছু না বলে দিন কাটাতে থাকে। কিন্তু আমার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে আমার স্বামী আমাকে জিজ্ঞেস করে তোমার কি হয়েছে। পরে আমি লজ্জা হারিয়ে সাহস করে আমার স্বামীকে সবকিছু বলে দেই। আমার স্বামী আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে বলে আমাকে নিয়ে সংসার করবে না। পরে আমার স্বামী বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করলে তারা আমার স্বামীকে বুঝায় এবং ঘটনাস্থলে যায় এমতাবস্থায় আমি অই ভন্ড ফকিরের বিচারের দাবি জানাই।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে উক্ত এলাকায় বিষয়টি নিয়ে খুব চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়, অভিযুক্ত ভন্ড ফকির হেমায়েত সিকদারের ভগ্নিপতির বাড়ি আবার ওই ভুক্তভোগী মহিলার বাড়ির পাশে। ভুক্তভোগী মহিলার স্বামীর বাড়ি উজিরপুর সানুহার গ্রামে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত ভন্ড ফকির হেমায়েত সিকদার দুই বিয়ে করেও কারো সাথেই সংসার করতে পারেনি। নির্জন একটি জায়গায় ঘর উঠিয়ে তিনি একাই বসবাস করেন এবং তার কাছে তদবির নিতে আসা বিভিন্ন রোগীদের সাথে অপকর্মে লিপ্ত হন এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত হেমায়েত শিকদার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী কামরুল ইসলাম বলেন, আমি অটো চালিয়ে সংসার চালাই, সব সময় আর্থিক অনটনের মধ্যে থাকি, ধর্ষকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে আমি শীঘ্রই আইনের দ্বারস্থ হব।