ঝালকাঠির নলছিটিতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্মৃতি আক্তারকে (৩৫) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িত মূল আসামী বাপ্পি সরদার ওরফে তুষারকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নলছিটি চায়না মাঠ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল।
পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল জানান, হত্যার মূল হোতা বাপ্পি সরদার নিহত স্মৃতির আপন মামাতো ভাই। বাপ্পি নলছিটি উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের ফেরদৌস সরদারের ছেলে।
সে পেশায় ভাড়ায় মটরসাইকেল চালক। কিছুটা বুিদ্ধপ্রতিবন্ধী স্মৃতি আক্তারের সঙ্গে বাপ্পি সরদার তুষারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এ সুযোগে বাপ্পি একাধিকবার স্মৃতিকে ধর্ষণ করে। এ অবস্থায় বাপ্পিকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল স্মৃতি। গত ২৫ এপ্রিল রাতে ঘরের দরজা খুলে স্মৃতিকে পাশের একটি ফসলের মাঠে নিয়ে বাপ্পি তাকে ধর্ষণ করে। এসময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘত করার পরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
তাঁর লাশ ফসলের মাঠে ফেলে পালিয়ে যায় বাপ্পি সরদার। পরের দিন দুপুরে ফসলের মাঠ থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বাপ্পি সরদারকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে একাই ধর্ষণ শেষে স্মৃতিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, যেহেতু এই মামলায় একমাত্র হত্যাকারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সুতরাং নিরাপরাদ কাউকে এ মামলায় হয়রানী করা হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শংকর দাস ও নলছিটি থানার ওসি মুহাম্মদ আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।