বরগুনায় ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার চাচী কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে ভুক্তভোগী চাচী। এ সময় ট্রাইব্যুনালে এ মামলাটি গ্রহন করেন।
এর আগে বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো: মশিউর রহমান খান সিআইডি বরগুনাকে ৭ দিনের মধ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন।
ওই আদালতের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ মামলার আসামিরা হলেন বরগুনা সদর উপজেলার ফুলতলা কুমড়াখালী গ্রামের জাকির হোসেনর ছেলে মো: সাগর।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূর স্বামী জাহাজে কাজ করার কারণে খুলনা থাকেন। গৃহবধূর স্বামীর অনুপস্থিতে ভাসুরের ছেলে সাগর বিভিন্ন সময় চাচীকে কুপ্রস্তাব দেয়।
চাচী এমন কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে অপহরণ করে বিয়ে করার হুমকি দেয়। এমন কি চাচীর গোসল করার দৃশ্য গোপনে ধারন করে ব্লাক মেইল করার চেষ্টা করে। তাতেও চাচী সাগরের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি হয়নি।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর দেড়টার দিকে চাচী আল আমিনের বাড়ির সামনে গেলে সেখান থেকে সাগর ও অজ্ঞাত পরিচয়ে দুই ব্যক্তি চাচীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে ঢাকা মিরপুরের রূপনগর নিয়ে যায়।
এ গৃহবধূ বলেন, আমায় অপহরণ করে ঢাকা মিরপুরের রূপনগরে একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে আগে থেকেই সাগরের মা ও বাবা অবস্থানরত ছিলেন। ওই বাসায় আমাকে আটক রেখে খুনের ভয় দেখিয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করেছে সাগর।
পরে ওই বাসা থেকে ১৪ দিন পর আমার স্বামী আমাকে উদ্ধার করে। পরে বরগুনা থানায় ২ এপ্রিল মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ এ মামলা নেয়নি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসামি সাগরের ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ ও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। যদি কেউ এমন ঘটনায় থানায় মামলা করতে আসতেন তাহলে অবশ্যই মামলা নেয়া হতো।