ভোলার দৌলতখানে রাজিয়া (২১) নামের এক গৃহবধূকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা হলেন, তার আপন শ্বশুর জসিম (৪০) ও শাশুড়ি রাবেয়া (৩৫)।
আহত রাজিয়া দৌলতখান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজিয়া সাংবাদিকদের জানান, বিয়ের পর থেকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে মারধর করতেন। গত শুক্রবার সকালে তিন বছরের মেয়ে ফারিয়া চকলেট এর জন্য কান্নাকাটি করে।
এসময় শিশু ফারিয়াকে বকাঝকা করেন সে। বকাঝকাকে কেন্দ্র করে তার শ্বশুর জসিম ও শাশুড়ি রাবেয়া তাকে লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দৌলতখান হাসপাতালে এনে ভর্তি করান।
আহত রাজিয়ার বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, একই এলাকার জসিমের ছেলে রাকিবের সাথে ৫ বছর আগে তার মেয়ে রাজিয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
বিয়েরপর মেয়ের সুখের জন্য জামাতা রাকিব ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বর্ণালংকার ও টাকা দিয়েছি। এতেও তাদের দাম্পত্যজীবনে সুখ বয়ে আসেনি।
সামন্য ঘটনা নিয়ে মেয়েকে প্রায় সময় মারধর করতো জামাতা রাকিবের বাবা জসিম ও তার মা রাবেয়া। এ নিয়ে গ্রাম্যভাবে কয়েকবার শালিস বৈঠক হলেও এর কোন সুরাহা হয়নি।
গত শুক্রবার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মেয়ে রাজিয়াকে এভাবে বেধড়ক মারধর করায় অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেন তিনি। তবে অভিযুক্ত শ্বশুর জসিম বলেন, শুক্রবার সকালে বউ -শাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া হয়। এসময় তিনি এসে উভয়কে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে ঝগড়া থামান।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ছিডু জানান, মারধরের ঘটনা আমাকে রাজিয়ার বাবা জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন। তবে এভাবে মারধর করার বিষয়টি দুঃখজনক।’