মাসুদ শিকদারঃ ( বাকেরগঞ্জ )
এ যেন বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় তেমনটাই দেখা গেল কলস কাঠি ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক আশরাফ হোসেনের বিরুদ্ধে, বেলা ১১ টা কলেজের অধ্যক্ষ কার্যালয়ে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ফরম ফিলাপের আজ ছিল শেষ দিন ভিতরে ঢুকতেই দেখা গেল আশরাফ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সাথে ফরম ফিলাপের দেন দরবার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন দীর্ঘক্ষণ বসে থেকেও আশরাফের সিরিয়াল পাচ্ছিলাম না পরবর্তীতে জোর করে তার বক্তব্য নেওয়ার র চেষ্টা করলাম ফরম ফিলাপের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ৫ হাজার টাকা এবারের ফরম ফিলাপে নিচ্ছি যারা উপবৃত্তি পাচ্ছে তাদের কাছ থেকে কত নিছেন উত্তরে সবার কাছ থেকে একই ধার্য করেছি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তথ্য আছে ৬৬০০ টাকা নিচ্ছেন যা দের উপবৃত্তি আসছে তাদের পক্ষ থেকে সরকার টিউশন ফ্রি দিচ্ছে তারা তো শুধু বোর্ড ফি ফরম ফিলাপ করবে তাহলে কেন এত অনিয়ম, শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ তো আপনাদের ফরম ফিলাপ ২৩ শত টাকা ধার্য করে দিছে,। উত্তরে তিনি বললেন আমরা তাদের কাছ থেকে টাকা কম নেব সেরকম কোন চিঠি পাইনি, সভাপতি সাহেব বেতন চব্বিস শত বোর্ডফি ২৩০০ করেছেন।
পরবর্তীতে কলসকাঠি ডিগ্রী কলেজের সভাপতি মনদীপ ঘরাই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি বরিশাল। তার বক্তব্য নিতে গেলে তিনি ফোন কেটে দেন,তার বক্তব্য সম্ভব হয়নি। রোজিনা নামে এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয় তিনি বলেন চার হাজার টাকা নিয়ে তিন দিন স্যারদের দরজায় ঘুরেছি আজও শেষ দিন এসেছি, আমার ফরম ফিলাপ ৪০০০ করবে না আমি পরীক্ষা দিতে পারব কিনা জানিনা, মোটর বাইক চালক এক অভিভাবক আসলো তিনি অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে গেলেন তার মেয়ের ভবিষ্যৎ, পরীক্ষায় বসাতে পারবেন কিনা তিনি জানেন না, ভ্যানচালক এক বাবার সাথে কথা হল হাত পায়ে ধরে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ফরম ফিলাপ করে আসলাম। গভ্নিং বডির এক সদস্য বলল কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের কোন কাজেই ডাকে না তারা সব মনগড়া সিদ্ধান্ত নেয়, নাম প্রকাশ না করার করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন আমাদের কলেজের কোন অভিভাবক নাই এখন পর্যন্ত চারজন ভারে অধ্যক্ষ আসছে ন আর গেছেন এখন মতিন স্যার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এই কলেজটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি পরিণত হয়েছে টাকা ছাড়া এখানে কোন সেবা মিলে না এখানে আশরাফ স্যারের কথা ছাড়া দ্বিতীয় কারো কথা চলে না অধ্যক্ষ কাঠের পুতুল । ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মতিন এর বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে বার বার ফোন দিল তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। মজিবর নামে এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন গত বছর আমি পরীক্ষা দিয়েছিলাম এক সাবজেক্ট ফেল করেছি এই বছর আমার ফরম ফিলাপের কোন নির্দেশনা আসেনি এই ভুল কার কলেজ কর্তৃপক্ষ ভুল করে আমার ওপর দায় চাপাচ্ছে আমার আর একটা বছর নষ্ট হতে চলেছে তারা কোন দায় নিতে রাজি নয়, আমার জীবনটা নষ্ট করে দিল এই কলেজ কর্তৃপক্ষ। চলবে