1. mohib.bsl@gmail.com : admin :
  2. h.m.shahadat2010@gmail.com : Barisalerkhobor : Barisalerkhobor
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪৭ অপরাহ্ন

গভীর রাতে হলে এসে মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতা

  • Update Time : সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১২ Time View

গ্রুপের অন্তর্কোন্দলের জেরে গভীর রাতে হলে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক বিভাগ ছাত্রলীগ নেতা। সানজিদ চৌধুরী তন্ময় (রিশান তন্ময়) নামে এ নেতা সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারী) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে শাহপরাণ হলের ৪২৫ নম্বর রুমে আসে সানজিদ চৌধুরী তন্ময়। পরে তার সঙ্গে অন্য ছাত্রলীগ নেতার আঁতাতের অভিযোগে এনে তাকে রুম থেকে বের দিতে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানের অনুসারীরা। তিনি বের হতে না চাইলে তাকে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে রুম থেকে বের করে দিয়ে হলের গেস্ট রুমে বেঁধে রাখা হয়।  

এর আগে গ্রুপের মধ্যে অন্তর্কোন্দলের জেরে রিশান তন্ময়কে হল থেকে বের করে দেয় সজিবুর রহমানের নেতাকর্মীরা। পরে হলে ভর্তি হয়ে রোববার রাতে তার সিটে থাকতে এলে তাকে মারধরের শিকার হতে হয়।

ঘটনার বিষয়ে রিশান তন্ময় বলেন, গতরাতে আমি শাহপরাণ হলের ৪২৫ নম্বর কক্ষে গিয়েছিলাম, সে কক্ষে আমি ভর্তি হয়েছি। পরে সজিবুর রহমানের নির্দেশে তার গ্রুপের কর্মী ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন এসে আমাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে থাকেন। তিনি আমাকে বলেন, আমি নাকি ছাত্রলীগ নেতা আসাদের রাজনীতি করি। তাই আমাকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন, তাতে আমি অস্বীকৃতি জানাই। তখন সাজ্জাদের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন এসে আমাকে মারধর করেন। পরে আমাকে টেনেহিঁচড়ে মারতে মারতে হলের গেস্ট রুমে এনে বেঁধে রাখে।

অভিযোগের বিষয়ে সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আগে ছোটখাটো কিছু বিষয়ে তার সাথে আমাদের ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। গতকাল আমরা তাকে মারধর করিনি বা মারতে যায়নি। বরং তিনি যে ঘটনা ঘটাতে চেয়েছে, তা ঘটতে দেইনি। তিনি আমাদের কাছের ছোট ভাই, আমরা চাই তিনি ভুল থেকে বেরিয়ে এসে পড়াশোনা করুক, হলে লিগ্যাল প্রসেডিওর মেনে ভর্তি হোক, যার রাজনীতি করার করুক, আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

ছাত্রলীগ নেতা সজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, তিনি কারো জন্য সেইফ না, তাকে হলে রাখা রিস্ক। তিনি মানসিকভাবে সুস্থ না, নাকি তিনি ইচ্ছে করে এসব করছেন তাও জানি না। তিনি গতকাল হলে আসেন, আমরা তা জানতে পেরে তাকে আটকে রাখি। পরে তাকে মেসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, হলের ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে আমরা তাৎক্ষণিক হলে আসি। পরে ঘটনাটি আমরা সমাধান করে ওই ছেলেকে মেসে পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে ছেলেটি হলে ভর্তি হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ আগস্টে সাজ্জাদ হোসেনসহ আরও দুইজনকে মাদকসহ আটক করে সিলেট এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। পরে তাদের নামে মামলা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ
© All rights reserved © 2023
Theme Customized By BreakingNews
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com