শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ভর্তির ফি নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও মেহেন্দিগঞ্জে সরকারি পাতারহাট রসিক চন্দ্র কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারনির্ধারিত ফির তুলনায় ভর্তি হতে ২০০০ থেকে ২২শত টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।
ভর্তি নীতিমালায় উল্লেখ করা হলেও তা আমলে নেয়নি কলেজটি। অনলাইনে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের বেতন, নবীন বরণ, টিউশনফিসহ বিভিন্ন ফির নামে ৩ হাজার ৪৯০ টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
ভর্তি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ মোঃ শহীদুল ইসলাম এর নির্দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে সেশন ফি এর নাম করে বাণিজ্য করা হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ শহীদুল ইসলাম জানালেন, কলেজ উন্নয়নের স্বার্থে এই টাকা নেওয়া হয়েছে, কলেজের জেনারেল ফান্ড শুন্য থাকায় আমরা অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছি, অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে ইউএনও মোঃ নুরুন্নবীকে অবগত করেছেন বলেও জানান তিনি।
এও বলেন কলেজের জেনারেল ফান্ড শুন্য করে গেছেন সদ্য বিদায়ী অধ্যক্ষ এবিএম মাহাবুবুল ইকবাল। তিনি বিদায় হলেও কাউকে চার্জ বুঝিয়ে দেননি। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুরুন্নবী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানা গেছে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম ২২ জানুয়ারী শুরু হয়। আর কার্যক্রম শেষ হয় ২৬ জানুয়ারি।
ভর্তি কার্যক্রম শুরু থেকেই সরকারি পাতারহাট রসিক চন্দ্র( আর সি) কলেজে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ভর্তি করে আসছে। এছাড়াও অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এই সরকারি কলেজের বিরুদ্ধে। পাতারহাট সরকারি আরসি কলেজ কর্তৃপক্ষ বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ফির নামে ৩ হাজার ৪৯০ টাকা আদায় করছে।
ভর্তির প্রথম দিকে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা টাকা নেওয়ার রশিদ চাইলে তা না দিলেও পরবর্তীতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাপের মুখে রশিদ দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। মেহেন্দিগঞ্জের পাতারহাট সরকারি রসিক চন্দ্র কলেজে আসন সংখ্যা ৫৫০টি।
অনলাইনে ভর্তি পদ্ধতিতে ওই আসন সংখ্যা পূরণ হলেও আর্থিক লাভবানের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম চালাতে পারেন বলে জানান শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
অতিরিক্ত টাকা আদায় করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। শিক্ষার্থী রুবাইয়া ইসলাম, নাজমুল হোসেন জিহাদ বলেন, ৩হাজার ৪৯০ টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছি। কিছু টাকা কম দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তা নেয়নি।