পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মারিয়া আক্তার তন্বী (১৫) নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে ওই ছাত্রীর লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তন্বী উপজেলার ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের দুবাই প্রবাসি হাবিবুর রহমানের মেয়ে এবং কেএম লতীফ ইনষ্টিটিউশনের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
জানাগেছে, গত তিন মাস আগে প্রেমের সূত্র ধরে ওই ছাত্রীকে পরিবারের অমতে রাব্বি নামের এক যুবক পালিয়ে বিয়ে করে। পরে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। সোমবার সন্ধ্যায় তন্বী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন প্রচার চালায়।
কিন্তু নিহতের পরিবার তন্বীর মৃত্যুর ঘটনা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবী করেন।
এদিকে এঘটনায় নিহতের ভাই মঙ্গলবার সকালে ৪ জনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন- নিহত তন্বীর স্বামী পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিনহাজুল রহমান রাব্বি, শ্বশুর অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মুজিবুর রহমান, শাশুড়ী শিরিন বেগম, ননদ মাকসুদা আক্তার।
থানা পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরেই নিহতের শ্বশুর মুজিবুর রহমান, শাশুড়ী শিরিন বেগম, ননদ মাকসুদা আক্তার গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মাঠবাড়িয়া থানা পুলিশ মারিয়া আক্তার তন্বীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার পর থেকে তন্বীর স্বামী মিনহাজুল রহমান রাব্বি পলাতক রয়েছে।
নিহত তন্বীর চাচা ফোরকান হোসেন জানান, তন্বী বখাটে রাব্বির সাথে প্রেমে জড়িয়ে ৬ মাস আগে ঢাকায় পালিয়ে যায়। এদিকে তন্বীর মা সেই শোক সইতে না পেরে স্টোক করে মারা যান। পরে ২ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মঞ্জুর রহমান শিকদার ও ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান মিলনের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি তাদের বিয়ে হয়। ঢাকায়ও তাদের বিয়ে হয়েছিলো। বিয়ের পরে বাড়িতে থেকে তন্বী তার ভাইকে মাঝে মধ্যে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতো। সোমবার সকালে ভাইকে যেতে বললে তন্বীর ভাই ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেনি। বিকেলে আবারও যেতে বললে তন্বীর ভাই যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। পরে বিকেল ৫ টার দিকে তন্বীর শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে বলা হয় হাসপাতালে যেতে। হাসপাতালে গিয়ে বোনের লাশ দেখতে পান।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পলাতক রাব্বিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।