মোঃ আল-আমিন সরদার খলিলিঃ
নামাজ কাজা করা অনেক বড় গুনাহ। কোনো কোনো আলেম বলেন, জেনেবুঝে নামাজ ছেড়ে দিলে কাফের হয়ে যায়। সুতরাং যদি কোনো সময় ঘুমের ঘোরে নামাজের সময় পার হয়ে যায়, অথবা অবহেলায়-অলসতায় কাজা হয়ে যায়, তবে তা অতি দ্রুত আদায় করে নেবে। বিশ-তিরিশ বছর কিংবা তারও বেশি সময়ের নামাজও যদি কাজা হয়ে যায়, তবুও তার সবই পড়বে। একটি কথা প্রচলিত আছে যে, কাজা উমরীর চার রাকাত পড়লে সব কাজা নামাজ আদায় হয়ে যায়। এটা সম্পূর্ণই ভুল কথা ।
মাসয়ালা : কাজা নামাজের নিয়তে সময় ও তারিখ নির্দিষ্ট করে নিয়ত করা জরুরি। কিন্তু যেহেতু তারিখ নির্দিষ্ট করা অনেক কঠিন, এজন্যে ওলামায়ে কেরাম বলেছেন যে, যার জিম্মায় অনেক বেশি নামাজ কাজা থাকে, অথবা যার মনে না থাকে যে, কোন দিনের নামাজ কাজা হয়েছে, সে প্রত্যেক নামাজের নিয়তে এ কথা বলবে যে, আমার জিম্মায় উদাহরণস্বরূপ প্রথম যে জোহর কিংবা আসর নামাজ কাজা রয়েছে, আমি তা পড়ছি।
নিয়ত : আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে আমার জিম্মায় রয়ে যাওয়া প্রথম জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত করছি আল্লাহু আকবার ।