আল আমিন সরদার খলিলি
হাদীস শরীফে তাহাজ্জুদ নামাজের অনেক ফজিলত এসেছে। এ সময় দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ মুহূর্ত । এই বরকতপূর্ণ সময়ে আর কিছু না হোক, অন্তত দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর নিকট দোয়া করবে। আল্লাহর প্রিয়তম রাসূল (স) সারারাত নামাজ পড়তেন। এমনকি প্রিয় নবীজীর কদম মোবারক ফুলে যেত। দুই রাকাত থেকে নিয়ে বারো রাকাত পর্যন্ত যতটুকু সম্ভব তাহাজ্জুদ পড়া চাই। এতে দুই রাকাত দুই রাকাত, চার রাকাত চার রাকাত এর নিয়ত করা যায়।
নিয়ত : আমি কেবলামুখী হনো আল্লাহর ওয়াস্তে তাহাজ্জুদের দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত করছি আল্লাহু আকবার।
ফজিলত আল্লাহর রাসুল (স) বলেছেন, প্রত্যেক রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, কে আছে আমার নিকট দোয়া করবে, আমি তার দোয়া কবুল করব। কে আছে আমার নিকট কিছু চাইবে, আমি তার চাওয়া পূর্ণ করব। কে আছে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। কে আছে যে এমন সম্রাকে কর্জ দেবে, যার নিকট সবকিছু বিদ্যমান। যিনি কাঙ্গাল নন, জালিম নন। ভোর হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা এভাবে বলতে থাকেন (মুশারী খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৫৩; মুসলিম: ০১) প্রিয়তম নবী (স) আরও বলেছেন, জান্নাতে এমন কিছু অ্যালিকা রয়েছে যেগুলি এতই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন যে, তার বাইরের অংশ ভিতর থেকে আর ভিতরের অংশ বাহির থেকে দেখা যায়। এসব অট্টালিকা আল্লাহ তায়ালা বানিয়েছেন ঐসব মানুষের জন্যে যারা কোমল ভাষায় কথা বলে, অভাবীকে আহার করায়, বেশি বেশি রোজা রাখে আর রাত্রবেলায় নামাজ পড়ে, যখন লোকেরা থাকে আধার ঘুমে বিভোর। (মিশকাত শরীফ এ ১, পৃষ্ঠা ১) প্রিয়নবী (স) আরও বলেছেন, তোমরা তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ো। কারণ, তোমাদের পূর্ববর্তীরা এ নামাজ পড়ে আসছে। এ নামাজ তোমাদের জন্যে। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উপায়, মন্দকর্মের কাফফারা এবং গোনাহ থেকে বারণকারী নবীজী (স) আরও বলেছেন, ফরজ নামাজের পরে শ্রেষ্ঠত্বের দিক দিয়ে তাহাজ্জুদ নামাজেরই।তিরমিযী শরীফ খণ্ড১পৃষ্ঠা।
নবীজী (স) আরও বলেছেন, সকল সময়ের মধ্যে তাহাজ্জুদের সময়ই বান্দা আল্লাহ পাকের অধিক নিকটবর্তী হয়ে থাকে। অতএব যদি তোমাদের পক্ষে সম্ভব হয় এ সময়ে আল্লাকে স্বরণ করার, তবে তোমরা তা-ই করো। (তিরমিযী শরীফ)