শেখ মুহাম্মাদ আবু জাফর
ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জে নিজ বাসার রান্নাঘর থেকে মুফতি মাওলানা আহসান উল্লাহ নামে এক ব্যাক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কালিন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম বড়িসুর মুসলিমাবাদ কামারপাড়া এলাকার নিজ বাড়ীর ২য় তলার ফ্লাটের রান্নাঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি স্থানীয় মাহফুজুল কোরআন মাদ্রাসার মুহতামিম ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও জাতীয় ইমাম পরিষদ কেরানীগঞ্জ শাখার সভাপতি ছিলেন। পাশাপশি তিনি এস এস ডোর নামে একটি ফার্নিচারের দোকানের ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুফতি মাওলানা আহসান উল্লাহ বাড়ির ২য় তলার একটি ফ্লাটে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। ৬ষ্ঠ তলা ভবনটির অন্যান্য ফ্লাটে তার বাকি ৬ ভাই ও মা বসবাস করেন। ভবনটিতে কোন ভাড়াটিয়া নেই। গত সোমবার রাতে তিনি তার ফ্লাটের একটি কক্ষে বড় ছেলে মোঃ ঈসার সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন।
ভোরবেলা ছেলে ফজর নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠে বাবাকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে অন্য ঘরে খুঁজতে থাকে। এসময় ঈসা রান্নাঘরে বাবার গলাকাটা লাশ দেখে প্রথমে পরিবার ও পরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন বিভাগ আলামত সংগ্রহ করেছে।
নিহতের ভাই মোঃ সেলিম বলেন, আমার ভাই একজন দ্বীনদার মানুষ। আমার জানামতে তার কোন শত্রু নেই। সে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় জমিজমার ব্যবসা করতো। জমিজমা সংক্রান্ত কোন ঝামেলা আছে কিনা বলতে পারবো না। এই বাড়ীতে বাইরের লোক ঢোকা সম্ভব নয়, আমাদের মনে হচ্ছে তিনি কোন কারনে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে আত্বহত্যা করেছেন।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে। লাশের পাশ থেকে রক্তাক্ত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন বিভাগ আলামত সংগ্রহ করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলেছে।