কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার কৃষক আমিরুল হক হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জনাকীর্ণ আদালতে কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশের কথা রয়েছে।
এ মামলায় প্রধান আসামি কুদ্দুস মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ (৫০) এবং তার বড় দুই ভাই আবুল কালাম (৬০) ও ধনু মিয়াকে (৫৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ধনু মিয়ার ছেলে ফুকন মিয়াকে (৩০) (পলাতক) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা বাজিতপুর উপজেলার পশ্চিম কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুজন হলেন একই এলাকার মুকুল মিয়া (৫৩) ও তার ছেলে নিকুল মিয়া (৩৩) এবং আসক মিয়ার ছেলে সোনাফর (৫২)।
রায় ঘোষণার সময় একমাত্র যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফুকন মিয়া পলাতক ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জেরে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর রাতে জেলার বাজিতপুর উপজেলার পশ্চিম কুতুবপুরের নিজ বাড়ির ঘরের ভিতরে কৃষক আমিরুল হক আমরুত মিয়াকে পিটিয়ে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় আসামিরা। এ ঘটনায় পর দিন ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর কৃষক আমিরুল হকের বড় ছেলে মো. শরীফ মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
কিশোরগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবু সাঈদ ইমাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২০১৬ সালে ১ মার্চ কিশোরগঞ্জ সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম খান অভিযুক্ত সাতজনকেই অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আহসান হাবীব সজীব।