নজরুল ইসলাম আলীমঃ
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩নং পাদ্রীশিবপুর মোহাম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার নূরানী শাখার শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ ফরাদ উদ্দিন ছালেহীর বিরুদ্ধে নবীজির সুন্নাতি পোশাকের উপর জুতা পিটা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তথ্যসূত্রের জানা যায়,উপজেলার ১৩ নং পাদ্রীশিবপুর মোহাম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র মোঃ কাওসারের মোবাইল স্টান ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে গত ১৬ ই ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার সন্ধা ৬টা৩০ মিনিট সময় একই মাদ্রাসার নূরানী শাখার শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ মোহাম্মদ ফরাদ উদ্দিন ছালেহী উক্ত মাদ্রাসার এতিম খানার দোতালায় তার কক্ষে ডেকে নিয়ে আটকিয়ে সন্ধা ৬টা থেকে শুরু করে রাত ১২ টা পর্যন্ত প্রিয় নবীজির সুন্নতি পোশাকের উপর হ্যাঙ্গার, ঝাড়ু ও জুতাপিটা করে তাকে পৈশাচিক শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এবং শিক্ষার্থী কাওসার উক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ দিদারুল্লাহ সাদামাটাভাবে বিচার করে উক্ত বিষয়টি বেশি বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি প্রদান করেন। অভিযোগ করে আরও জানান, তিনি উক্ত বিষয়ে বিভিন্নভাবে অভিযোগ করার কারণে উক্ত মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের প্রাণনাশের ভয়ে মাদ্রাসায় আসতে পারতেছে না বলে তার শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় বন্ধের পথে।তাই তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উক্ত মাদ্রাসার নূরানী শখার শিক্ষক ফরহাদ উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,ঘটনার আগের দিন আমার একটি মরা শিশুর জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাই আমি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিলাম। তাই বিষয়টি সম্পূর্ণ আমার ভুল ও অপরাধ হয়েছেও বলে জানান।অপরদিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জানান,এটি একটি সামান্য ব্যাপার তবুও আমরা ইতিমধ্যে এ বিষয়ে বিচার কার্য সম্পূর্ণ করেছি । তবে তিনি কি বিচার করছেন তা সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি তা অপারগতা প্রকাশ করেছেন।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকমল হোসেন খান জানান,এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি তবে অভিযোগ আসলে আমরা তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।