আমতলী পৌরসভার ছুরি কাটা গ্রামের মটরসাইকেল চালক মো. বেল্লাল গাজী (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ বুধবার সকালে কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে কলাপাড়া থানার পুলিশ। বেল্লাল আমতলী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড ছুরিকাটা গ্রামের সফেজ গাজীর ছেলে।
পুলিশ এবং নিহত বেল্লালের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, আমতলী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ছুরিকাটা গ্রামের সফেজ গাজীর ছেলে বেল্লাল গাজী (৩৫) ভাড়ায় মটর সাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। মঙ্গলবার রাতে সে আমতলী থেকে যাত্রী নিয়ে কলাপাড়া যাওয়ার পর ওই রাতে সে আরা বাসায় ফেরেনি। রাতে এবং সকালে তার মোবাইল ফোনে কল করেও বন্ধ পাওয়া পাওয়া যায়। বুধবার সকাল ১১ টার সময় কলাপাড়া থানা পুলিশ স্থানীয়দের নিকট থেকে খবর পেয়ে টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামের বাশার সিকদারের বাড়ীর সামনে অবস্থিত মৌমিতা খালের পার থেকে বেল্লালের মুখমন্ডল থেতলানো রক্তাত্ব লাশ উদ্ধার করে। তবে এখনো তার প্লাটিনা মটরসাইকেল এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহত বেল্লালের বড় ভাই দুলাল গাজী জানান, আমার ভাই বেল্লালকে শ্রত্রুতা বশত হত্যা করে মটর সাইকেল নিয়ে গেছে। তার মুখ থেতলানো, চোখে এবং হাতে আঘাতের চিহ্ন এবং গলায় রশি পেচানো ছিল। আমি তদন্ত সাপেক্ষে এঘটনার বিচার চাই।
নিহত বেল্লালের স্ত্রী মারিয়া বেগম বলেন, মুই এহন দুইডা গুরাগাড়া লইয়া ক্যামনে থাকমু। ক্যামনে ওগো মুখে ভাত দিমু।
নিহত দুলালের মা কহিনুর বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, মোর পোলাডারে মাইর্যা হালাইছে মোরে এহন কেডা মা কইয়া ডাক দেবে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসিম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালীর মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, লশের মুখমন্ডলে এবং চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে শত্রুতা বশত কেউ তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছে।