নিজস্ব প্রতিবেদক-
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাকেরগঞ্জ পৌরসভাধীন ১০৮ নং বাকেরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে কোন প্রকার সরকারি রেজুলেশন ছাড়াই শিশু শ্রেণীর নতুন ভর্তি হওয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা বেগমের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়-গত ৫’ই জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বাকেরগঞ্জ মডেল সরকারি বিদ্যালয়ে স্থানীয় সদর এলাকার বাসিন্দা মহান মুক্তিযুদ্ধের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ৯নং আসামি বঙ্গবন্ধুর জেলসঙ্গী মুক্তিযোদ্ধা মরহুম দলিল উদ্দিন হাওলাদার এর ছেলে সিদ্দিকুর রহমান তার মেয়েকে ভর্তি করতে আসলে ভর্তি ফরম ও চা নাস্তা খরচ বাবদ বাধ্যতামূলক ১০০ টাকার ফরম ও সাথে আরও ২০০ টাকা নিয়ে থাকে।
আরেকদিকে নলছিটি থানার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি সুবোধে বাকেরগঞ্জে বসবাসরত থাকলে তার মেয়েকে ও ভর্তি করতে আসলে নানা অজুহাত দিয়ে ভর্তি নেয়নি,ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম জানায় আমি বাকেরগঞ্জ টিএনটি রোডে বসবাসরত আছি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভর্তি করতে পারলে আমার মেয়ের সুশিক্ষার জন্য অনেক সুবিধা হত,তাই তার মেয়ের ভর্তির জন্য রফিকুল ইসলামের স্ত্রীও বিদ্যালয় গিয়ে অনেক অনুরোধ করলেও ভর্তি নেয়নি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকরা।
ভুক্তভোগীরা আরো জানায়-প্রধান শিক্ষকের কাছেও অনুরোধ করলেও কোন প্রকার শুরহা হওয়া পায়নি ভুক্তভোগী অভিভাবকরা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষকা রেহেনা বেগম ৩০০ টাকা করে হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কোন বৈধতা দেখাতে পারেন নি।
সাবেক প্রধান শিক্ষক মোস্তফা অবসরে যাওয়ার পর কিছুদিন হয় রেহেনা যোগদানের পরই অর্থ হাতিয়ে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে।
এ অবস্থায় বাকেরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা বেগমের বিরুদ্ধে উপরস্থ কর্তৃপক্ষ,বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার,বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসার,বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বরিশাল জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী অভিভাবকরা।