তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারামারি-হাতাহাতির মধ্য দিয়ে বরিশালে শেষ হলো ছাত্রদলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
২ জানুয়ারী সোমবার বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করেন বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রদল।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করীম রনির সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহিন ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বরিশাল জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক আল ইমরান।
সমাবেশে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার আবুল হাসান লিমন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ হাসান মামুন, সাবেক ছাত্রদলনেতা হাফিজ আহমেদ বাবলু সহ সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদল নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ চলাকালীন সময়ে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ছাত্রদলের দুটি গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বেশ কিছুক্ষণ এমন চলতে থাকার পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, নিজেদের অবস্থান জানান দিতে ছাত্রদলের পদধারী নেতারা বিভিন্ন বয়সী অছাত্রদের নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে থাকেন। বয়স কম হওয়ায় এসব অছাত্রদের কারনে প্রায়ই ছাত্রদলের কর্মসূচিগুলোতে ছোট বড় নানা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতা জানান, কর্মসূচিগুলোতে পুলিশের ভয়ে এখন অনেকে অংশ নিতে চায় না, তাই নেতারা যে যেভাবে পারেন মিছিল বড় করার জন্য লোক নিয়ে প্রোগ্রামে আসেন। তবে বরিশাল ছাত্রদলের পদধারী অনেক নেতাদেরও ছাত্রত্ব নেই বলে জানান তারা।
এব্যাপারে মহানগর ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক হুমায়ন কবির বলেন,‘আমরা যারা নেতৃত্বপর্যায়ে রয়েছি তারা যদি কর্মীদের ঠিকভাবে কাউন্সিলিং করি তাহলে আমার মনে হয় কোন কর্মসূচিতে আর বিশৃঙ্খলা ঘটবে না। আর প্রতিটি কর্মসূচি সুন্দরভাবে সফল করতে সকল ছাত্রদল নেতাকর্মীদের আরও বেশি সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
এব্যাপারে সাবেক ছাত্রনেতা ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবীর জাহিদকে একাধিকবার রিং দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।