বরিশালের উজিরপুরে ভিসা দেওয়ার কথা বলে এজেন্সি মালিকের ২কোটি ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ইসমাইল রিক্রুটিং হাউজের মালিক ইসমাইল হোসেন হাওলাদার।
তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন, উজিরপুর উপজেলার গড়িয়াগাভা গ্রামের আব্দুস সালাম হাওলাদারের ছেলে আদম ব্যবসায়ী মালয়েশিয়া প্রবাসী সাখাওয়াত হোসেন হাওলাদার মালায়শিয়া, দুবাই, ব্রনাই, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে, ভিসা দেয়ার কথা বলে ইসমাইল রিক্রুটিং হাউজের মালিকের কাছ থেকে ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে নগদ ২কোটি ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। এই টাকার ব্যাপারে তাকেসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধরণা দিয়েও টাকা আদায় করতে পারেনি এজেন্সি মালিক। উল্টো সাখাওয়াতের শাশুড়ী মরিয়ম বেগমকে দিয়ে ২০২২ সালে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ২ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজীর অভিযোগে ইসমাইল হোসেনসহ সাখাওয়াতের আপন ভাই আলাউদ্দিন হাওলাদারকেও আসামি করে সি আর ২১৮/২০২২ মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ২০০৯ সালের ২৮ নভেম্বর সাখাওয়াত হোসেন নিজে ইসমাইল হোসেন রিক্রুটিং হাউজের প্যাডে স্বাক্ষর করে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করে চুক্তিবদ্ধ হন। এ ঘটনার পরে ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সাখাওয়াতের ঘনিষ্ট আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে রাশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত নগদ ২ লক্ষ টাকা ইসমাইল হোসেনকে প্রদান করেন। এরপর থেকে সাখাওয়াত হোসেন আর কোন টাকা না দিয়ে একের পর এক তালবাহানা শুরু করেন। ইসমাইল হোসেন আরো জানান, সাখাওয়াত হোসেন প্রবাসী বাংলাদেশীর কাছ থেকে অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ করার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন এবং বিভিন্ন প্রবাসীকে চুক্তিভিত্তিক চাকুরী দিয়ে বেতনভাতা আত্মসাৎ করেন। কেউ প্রতিবাদ করলে ওই দেশের পুলিশ দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করেন তিনি। আর তার এই অবৈধ টাকা দিয়ে ঢাকার আশিয়ান সিটিতে ১৪ কাঠা জমি, উত্তরাসহ বিভিন্ন জায়গায় ফ্লাটবাড়ি, উজিরপুরে বহুতল ভবন ও বহু জমিজমা ক্রয় করেন।
তিনি আরো জানান, ভিসা দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি তার আপন ছোট ভাই অবগত থাকার কারণে তাকেও চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সাখাওয়াত হোসেন। ইসমাইল হোসেন ২৬ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় উজিরপুর প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন তিনি।
এ সময় প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধারসহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য দাবী জানান।