পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিষ প্রয়োগে আপন মায়ের ১০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে কুড়িগ্রাম জেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের মরাটারী গ্রামের মৃত আজিজুল হক এর স্ত্রী মোমেনা বেওয়া এর সঙ্গে তার আপন বড়ো মেয়ের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল।
এক পর্যায়ে দিবাগত রাতের কোন এক সমহয়ে অভিযুক্ত মোসলেমার স্বামী মোঃ মোফাজ্জল দুস্কৃতিকারী নিয়ে রোপনকৃত আমন ধানের ফসলে বিষ প্রয়োগ করে এমন অভিযোগ করেন মোসলেমার পরিবার। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রায় ১০ বিঘা জমির আমন ধানে বিষ প্রয়োগের কারণে খয়েরি বর্ণ হয়ে মরে গেছে।
এতে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানান মৃত আজিজুল এর পুত্র মাকসুদ এলাহী ও তার বড়ো ভাই মুঞ্জুর এলাহী।
এ বিষয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মৃত আজিজুল দুই বিয়ে করেছে। প্রথম স্ত্রীর ৪ মেয়- ১ ছেলে ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ৩ ছেলে – ২ মেয়ে মৃত আজিজুল বেছে থাকা অবস্থায় সংসার জীবন ভালো ছিলো,কিন্তু আজিজুল মৃত্যুর ৭ দিন পরেই তার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম কন্যা মোসলেমা জমির দখলে এসেছিলো এমনটাও জানান এলাকাবাসি।
আজিজুলের দ্বিতীয় স্ত্রী বলেন আমার স্বামী এই দুনিয়া ছেরে যাওয়ার পর আমার সব কিছু এল মেলো হয়েছে এক দিকে স্বামী বিদায়ের শোখ আর একদিকে আমার বড়ো মেয়ের জমি চাচ্ছিলো আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে মৌখিক ভাবে ছেলে মেয়েকে আবাদি জমি দিয়েছি কিন্তু এতে রাজি ছিলো না। লিখিত ভাবে না দেয়ায় আমার জামাই মোফাজ্জল ও আমার বড়ো মেয়ে মোসলেমা আমাদের নামে মামলা করে দেয়। আমার স্বামী মরে যাওয়ার পর থেকেই আমরা মামলা চালিয়ে আসতেছি।
সে মাঝে মাঝেই এই জমির জন্য আসে নানা ভাবে আমাকে ভয় ভীতি দেখায় আমি তার কথার প্রতিবাদ করলে আমাকে মার ধর করে আমার হাতের গহনা সহ কিছু জমির দলিল নিয়ে যায় আমি এটা নিয়ে কুড়িগ্রাম আদালতে মামলা করেছি মামলা নং ২৬৯ একপর্যায়ে কান্নায় ভেংগে পরে যায় মোমেনা বেওয়া কান্না জড়িত শরে বলেন আমার একমাত্র জীবিকা উপার্জনের আবাদি জমিতে বিষ প্রয়োগ করেছে আমরা কি খেয়ে থাকবো অনেক কষ্ট করে তেল শারের টাকা জুগিয়েছি আমি প্রশাসনের কাছে এটার সুষ্ঠ বিচার চাই।
মৃত আজিজুল এর দুই ছেলে মাকসুদ এলাহী ও তার বড়ো ভাই মুঞ্জুর এলাহী ও তার ছোট বন বলেন। আমার কিছু জমি বর্গা দেয়া আছে যাকে বর্গা দিয়েছি তাদেরকেও নানা ভাবে হুমকি দিয়েছে এবিষয়ে বর্গাকারি কৃষকদের সঙ্গে কথা হলে মোঃ আব্দুর রহমান ও অনাল্লি, সুমন, আকলিমা বেগম বলেন। আমাদেরকে এই জমির ফসল ঘরে তুলতে দেবে না এমন হুমকি দিয়ে জান মোসলেমা ।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক মোমেনা বেওয়া, মাকসুদ এলাহী ও তার বড়ো ভাই মুঞ্জুর এলাহী তার ছোট বন বলেন ও বর্গাকারীরা জানান, এ ঘটনায় প্রায় আড়াই লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার ফসলের ক্ষেত নষ্ট করার হুমকি দিয়েছে। দুর্বৃত্তদের শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
কুড়িগ্রাম থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খান শাহারিয়ার, বলেন এনিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি তবে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।