অনলাইন ডেস্কঃ
দ্বিতীয় স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার মামলায় গ্রেফতার হয়ে নলডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ হারিয়েছেন মো. শরিফুল ইসলাম পিয়াস।
তিনি এ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১।
তাকে আওয়ামী লীগের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দিনগত রাতে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস শুকুর ও সাধারণ সম্পাদক মুসফিকুর রহমান মুকু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দ্বিতীয় স্ত্রী লিপি খাতুনকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় বুধবার (২৬ অক্টোবর) তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর একদিন পর তাকে বহিষ্কার করা হলো দল থেকে।
বর্তমানে শরিফুল ইসলাম পিয়াস নাটোর কারাগারে বন্দি।
নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্যাডে লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বিতীয় স্ত্রী লিপিকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে করা মামলায় শরিফুল ইসলাম পিয়াসের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এ মামলায় পিয়াসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফলে, আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। এ অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ও অন্যান্য শাখার পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হলো।
নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস শুকুর সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার পিয়াসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি জানার পর তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগকে জানানো হয়েছে। বহিষ্কারাদেশের কপি জেলা ও কেন্দ্রে পাঠানো হবে বলে।
চলতি বছরের ১ মার্চ নাটোর শহরের বড়গাছা এলাকায় বসবাসকারী দ্বিতীয় স্ত্রী পলি খাতুন আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় পলির মা একই পৌরসভার কাউন্সিলর শামসুন্নাহার বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে পিয়াসের নামে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগপত্র দাখিলের পর নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় পিয়াসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।