নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইত্তেজা হাসানের পুত্র সৈয়দ বজলুল গফ্ফার যায়গাম আহসান সোহেলের হাতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ কলেজের ৩ জন কর্মচারীকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে শনিবার সকালে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলার শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি জিয়াউল করিম স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে বলেন, বরগুনার বামনা উপজেলার বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি সৈয়দ বজলুল গফ্ফার যায়গাম আহসান সোহেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ মহসীন কবীর সহ কলেজের কর্মচারী জালাল উদ্দিন, রিয়াজুল ইসলাম সহ ৪ জনকে লাঞ্চিত করেছেন।
কর্মচারীদের শারীরীকভাবে বিভিন্ন সময় মারধোর করানো সহ কান ধরে ওঠবস করান তিনি। এ ছাড়াও নিয়ম ও বিধির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সময় কলেজ পরিচালনায় অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় শিক্ষকদের বাধ্য করান। সভাপতি জুনিয়র-সিনিয়র সকলের সাথে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। গত সোমবার রাত দশ টার দিকে কলেজের মিটিং রুমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ডেকে নিয়ে একজন শিক্ষক ও একজন কর্মচারীকে চাকরীচ্যুত করতে বলেন। এতে অধ্যক্ষ রাজি না হলে তাকে লাঞ্চিত করে কলেজ থেকে বের করে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা সভাপতির অপাসারণের দাবী করেন। অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাশ বর্জনের ঘোষণা দেন। লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক নৃতৃবৃন্দ জানান, কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি তাঁর মেয়াদকালে তিনি সরকারী বিধি বিধান উপেক্ষা করে কলেজ পরিচালনা করে আসছেন। গভর্ণিং বডির সভাপতি ছেলে সৈয়দ আখিয়ার আহসান আরহাম তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী হিসাব সহকারী মো. সাইদ হোসেন রিপনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং হুমকি প্রদর্শন করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইত্তেজা হাসানের পুত্র ফায়জুন্নেসা মহিলা কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি সৈয়দ বজলুল গফ্ফার যায়গাম আহসান সোহেলের মুঠোফোনে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।