ডেক্স রিপোর্টঃ
বরগুনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে ছাত্র লীগ নেতা।জেলার আমতলী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বরিশাল শেবাচিমে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানাযায়,মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান আমতলী পৌর এলাকার আল হেলাল মোড়ে যান। সেখানে পৌঁছামাত্রই উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সবুজ ম্যালকার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার আহম্মেদ ওরফে তোহা, সদস্য শাহাবুদ্দিন ওরফে সিহাব, রুহুল আমিনসহ আর কয়েকজন মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
মোয়াজ্জেম হোসেনকে কুপিয়ে জখম করার খবর ছড়িয়ে পড়লে আমতলী শহরে তাৎক্ষণিক ছাত্রলীগ, যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিকলীগের নেতা-কর্মীরা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবিতে আমতলী চৌরাস্তায় বিক্ষোভ করে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কে শতাধিক পরিবহন আটকে পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মিজানুর রহমানের আশ্বাসে রাত সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক মো. সুমন বিশ্বাস জানান, তার বাম পা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম রয়েছে।
আহত মোয়াজ্জেম খান বলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের ছেলে তোফাজ্জেল হোসেনের নেতৃত্বে ১২ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালায়।
আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, অবরোধকারীরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।