স্পোর্টস ডেস্কঃ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচেই অভিষেক হয় পেসার এবাদত হোসেনের। আর অভিষেকেই দলের ত্রাণকর্তার ভূমিকায় তিনি।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ওয়েসলিমাধেভেরে ও অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে আউট করেন এবাদত।
আগের দুই ম্যাচে পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে টানা সেঞ্চুরি করে বিশ্ব নজির গড়েন সিকান্দার রাজা। সিরিজের শেষ ম্যাচে গোল্ডেন ডাক পান তিনি। তাকে বোল্ড করে ফেরান এবাদত।
২৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম দুই ওভারে ২ ওপেনারের উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি ভাঙেন হাসান মাহামুদ। তার শিকার হয়ে ফেরেন ওপেনার তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো।
আগের ম্যাচেও প্রথম ওভারে এই কাইতানোকে আউট করেন বাংলাদেশ দলের তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ।
হাসান মাহমুদের পর জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই মিরাজ শিকার করেন তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে।
চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে মাত্র ৩ রান খরচ করেন এবাদত হোসেন। আর ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে ৩ রানের খরচায় এবাদত শিকার করেন মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজার উইকেট। অধিনায়ক রাজার বিদায়ে ৫.৪ ওভারে মাত্র ১৮ রানে প্রথম সারির ৪ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আফিফ হোসেন ও এনামুল হক বিজয়ের জোড়া ফিফটিতে ভর করে ৯ উইকেটে ২৫৬ রান করল বাংলাদেশ।
এদিন উদ্বোধনী জুটিতে স্কোর বোর্ডে ৪১ রান জমা করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। এনামুলের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল।
উদ্বোধনীতে ৪১ রান করা বাংলাদেশ এরপর মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে হারায় ওপেনার তামিম ইকবাল, তিনে ব্যাটিংয়ে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ও চারে ব্যাটিংয়ে নামা সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে।
প্রথম দুই ওয়ানডেতে ৬২ ও ৫০ রান করা বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম এদিন ফেরেন ৩০ বলে ১৯ রান করে। শান্ত-মুশফিকরাতো রানের খাতা খোলার সুযোগই পাননি।
চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৯০ বলে ৭০ রানের জুটি গড়ে ফেরেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। আগের দুই ম্যাচে ৭৩ ও ২০ রানে আউট হওয়া বিজয় এদিন ফেরেন ৭১ বলে ৬টি চার আর ৪টি ছক্কায় ৭৬ রান করে।
বিজয় আউট হওয়ার পর আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৫৭ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়ে আউট হন রিয়াদ। আগের দুই ম্যাচে ২০* ও ৮০* রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদউল্লাহ এদিন টেস্টের আদলে ব্যাটিং করে ৬৯ বলে ৩৯ রানে ফেরেন।
রিয়াদের পর আফিফের সঙ্গে ৪৭ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়ে আউট হন অলরাউন্ডার মেহিদ হাসান মিরাজ। তিনি ফেরেন ২৪ বলে দুই চারে ১৪ রান করে। আগের ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেননি মিরাজ। ফেরেন ১৫ রানে। দুই ম্যাচে তার সংগ্রহ মাত্র ২৯ রান। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি।
মিরাজ আউট হওয়ার পর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমানরা। তবে আফিফ হোসেনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ বল পর্যন্ত খেলতে পারে বাংলাদেশ।
২৪.৪ ওভারে দলীয় ১২৪/৪ রানের সময় ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলেন আফিফ। তার ৮১ বলে ৬টি চার আর দুটি ছক্কায় সাজানো ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ২৫৬ রান তুলতে সক্ষম হয়।