কলসকাঠী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাদিশ গ্রামটি নদীভাঙন কবলিত এলাকা।নদীর কড়াল গ্রাস অত্র গ্রামটিকে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে।অনেকেই তাদের নিজস্ব জায়গা জমি হারিয়ে দূর দুরান্তে বসতবাড়ি গড়ে তুলেছে।গুটি কয়েক পরিবার শুধুমাত্র তাদের জীবিকার তাগিদে এখন নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করছে।অনেকের বসতবাড়ি করার মতো জায়গা নাই তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নদীপাড়ে বসবাস করছে।
নদীর এমন কড়াল গ্রাসের পাশাপাশি কিছু সংখ্যক মাটিখেকো, লোভী,স্বার্থপর মানুষ তাদের দৌরাত্ম্যকে কাজে লাগিয়ে নদী তীরবর্তী এলাকার মাটি বিক্রি করে তাদের স্বার্থ হাসিল করছে।
যা নদী ভাঙনকে আরো বেশি গতিবৃদ্ধি করছে।আর এমন হিনমনষ্য কর্মকান্ডের পিছনে কিছুসংখ্যক ক্ষমতাশালী ব্যাক্তির যোগসূত্র রয়েছে। তাদের নেতৃত্বে দিনদুপুরে এভাবে মাটি কাটা হচ্ছে (মাটি কাটার ভয়াবহ দৃশ্য ছবিতে দেওয়া হলো)।এমন হিংস্রাত্মক কার্যক্রমে কেউ বাধা দিলে উল্টো তাকে নানান ভয়ভীতি দেখানো হয়।
এভাবে চলতে থাকলে হয়তো কিছুদিনের ভিতরেই ইউনিয়ন থেকে হারিয়ে যাবে সাদিশ গ্রামটি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অপরাধী হয়ে থাকতে হবে তাদের নিরাপদ বাসস্থান গড়ে তুলে দিতে না পারলে।
এমতাবস্থায় সকলের উচিত সাদিশ গ্রামটি রক্ষার্থে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসা।
মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারলেই হয়তোবা গ্রামটি রক্ষা পাবে।
কলসকাঠী ইউনিয়ন নিয়ে বই লেখা হয়,কারো এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ হলে সেটা নিয়ে মাতামাতি হয়।অথচ কেউ এই দুর্দশাগ্রস্ত গ্রামটি নিয়ে এক কলামও লিখে না।
আপনারা সকলে অত্র এলাকার অসহায় মানুষদের কথা বিবেচনা করে যার যার স্থান থেকে মাটি কাটা রোধে এগিয়ে আসুন এবং মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।
বর্তমান যুগ সোসাল মিডিয়ার যুগ ।আপনি চাইলে যেকোনো সমস্যা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছে দিতে পারেন এর মাধ্যমে।
তাই সকলকে অনুরোধ করবো আমার লেখাটি সকলে শেয়ার করবেন যাতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি পরে উক্ত সমস্যা সমাধানে।